পাতা:মলিন মালা - গিরিশচন্দ্র ঘোষ.pdf/১০৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

হিন্দুজাতির যোগবল ও হরিদাস যোগী । ৪৩ হইবে, যেন ক্রযুগলের সন্ধি-স্থানে দৃষ্টি সম্বন্ধ রহিয়াছে। তাহা হইলেই মৃত্তিক হইতে দেহ শূন্তে উঠিয়া পড়িবে। এইরূপ অভ্যাল করিতে হইলে প্রথমে কিছু কষ্ট বোধ হয় বটে, কিন্তু একবার অভ্যাস হইলে তার কোন ক2 থাকে না ।” ভিক্ষুক ব্রাহ্মণ হরিদাস ও তাহার যোগাভ্যাস সম্বন্ধে যাহা কহিয়া ছিলেন, হরিদাসও বৈলে সাহেবের নিকট তাহার ঠিক সেইরূপ আত্ম-পরিচয় ও যোগের প্রক্রিয়। বর্ণনা করিয়া ছিলেন । সমাধি হইতে উঠিলে হরিদাস কয়েক দিন স্বৰ্য্যালোক সহ্য করিতে পারিতেন না । এজন্ত তাহাকে কিয়দিন নির্জন অন্ধকার-গৃহে বাস করিতে হইত। ক্রমে ক্রমে স্বাভাবিক মল-মূত্র নির্গত হইলে তিনি বুঝিতে পারিতেন যে তাহার অন্ত্রের কোন স্থান পচিয়া যায় নাই । ১৮৩৫ খৃষ্টাব্দে জ্যৈষ্ঠ মাসে প্রাপ্তবয়স্ক কুমার বাহাদুর নবনিহাল সিংহের বিবাহ । এই উৎসব উপলক্ষে বহুসংখ্যক রাজা ও রাজমন্ত্রী লাহোরে নিমন্ত্রণ রক্ষা করিতে আসিয়া ছিলেন । এই সময়ে হরিদাসও শিষ্য দিগকে সঙ্গে লইয়। ঘটনা ক্রমে লাহোরে আসিয়া উপস্থিত হইলেন । বিবাহ শেষ হইয়া গেলে ধ্যানসিংহ রণজিৎ সিংহকে বলিলেন “মহারাজ ! এক জন সিদ্ধপুরুষ আপনার রাজ্যে আসিয়াছেন । আমি তাহাকে চারি মাস কাল ভূগর্ভে নিহিত রাখিয়া ছিলাম । কিন্তু তাহাতেও তাহার মৃত্যু হয় নাই ।” রণজিৎ সিংহ এই কথা শুনিয়া অবিশ্বাস করিয়| কহিলেন, “যদি আমাকে দেখাইতে পার, তবে আমি বিশ্বাস করিতে পারি” । ধ্যানসিংহের আজ্ঞানুসারে হরিদাস শিষ্যগণ লইয়া রাজসভায় উপস্থিত