পাতা:মলিন মালা - গিরিশচন্দ্র ঘোষ.pdf/১১৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ՀԵ প্রবন্ধ-পাঠ । আনিলদৈখিল, উহা মহিষের শৃঙ্গের স্তায় মোটা,গোল ও /কঠিনু হইয়া গিয়াৰ্ছে তখন তাহারা তাহাতে স্থত লেপন করিয়া সৗধুর মাথায় পৰ্য্যায়ক্রমে শীতল ও উষ্ণ জল ঢালিতে লাগিল । পুনঃ পুনঃ এইরূপ করিবার পর এক খানি বড় রুট অল্প উষ্ণ থাকিতে থাকিতে মাথার উপর বসাইয়৷ দিল । তাহার পর চক্ষু, কর্ণ, মুখ ও নাসিকার তুলা ও মোম খুলিয়া দিয়া জোরে ফুৎকার দিতে লাগিল। কিয়ৎক্ষণ পরে দেহে প্রাণ বায়ু উপস্থিত হইল, এবং যোগীও চক্ষু চাহিয়৷ দেখিতে লাগিলেন । রণজিৎ সিংহ সাধুর নিকট বসিয়া ছিলেন । সাধুও মহারাজকে চিনিতে পারিয় তাহার সহিত মৃদুস্বরে দুই একটী কথা কহিতে লাগিলেন । সাহেব মণ্ডলী দেখিয়া শুনিয়া অবাক হইয়া গেলেন । ডাক্তণর মরে স্বহস্তে তাহার প্রতিমূৰ্ত্তি তুলিয়া লইলেন । ওয়েড, ম্যাকৃগ্রেগর ও মরে সাহেব তাহাকে কলিকাতায় লইয়া যাইবার জন্য অনেক অকুরোধ করিলেন ; কিন্তু তিনি কিছুতেই স্বীকৃত হইলেন না। সাহেবদের ইচ্ছা যে তিনি কলিকাতায় গিয়া একবার ইঙ্গ গভর্ণর জেনারলকে দেখান । হরিদাস বলিলেন “যদি আপনার সমস্ত কলিকাত নগরী আমাকে পুরস্কার দেন, তাহা হইলে আমি কলিকাতায় গিয়া এক বৎসর কাল মৃত্তিকার ভিতর সমাধিস্থ হইয়া থাকিতে পারি। নতুবা আপনাদের একটু আমোদের জন্ত আমি এত কষ্ট সহ্য করিব কেন ?" সাহেবের তাহাতে নিরুত্তর হইয়া আর অধিক অনুরোধ করিলেন না । রণজিৎ সিংহ হরিদাসের অদ্ভুত ক্ষমতার পরিচয় পাইয় তাহার সম্মানার্থ তাহাকে মণিময় কুণ্ডল, কনকহার স্ফটিকমালা, প্রভৃতি অলঙ্কার, এবং