পাতা:মলিন মালা - গিরিশচন্দ্র ঘোষ.pdf/১১৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

& о প্রবন্ধ-পাঠ । ছিল । আশ্চর্ষ্যের বিষয় এই যে, তৎকালে তিনি যে কোন শব্দ কাণ দিয়া না শুনিয়া পেট দিয়া শুনিতে পাইতেন । রোগের প্রকোপে তিনি প্রায় সৰ্ব্বদাই চক্ষু মুদ্রিত করিয়া থাকিতেন, এবং পুস্তকের ছত্ৰে ছত্রে অঙ্গুলি দিয়া পড়িতে পারিতেন । চক্ষু মুদ্রিত করিয়া তিনি লিখিতেও পারিতেন। বর্ণাশুদ্ধির কিম্ব। ছেদের ভুল হইলে তিনি না দেখিয়া ঠিক সেই বর্ণ কিম্বা ছেদ অঙ্গুলি দ্বারা মুছিয়া পুনৰ্ব্বার তাহা শুদ্ধ করিয়া লিখিতেন। মান্ততম ডাক্তার মহেন্দ্র লাল সরকার, বাৰু রাজেন্দ্র লাল দত্ত, কর্ণেল অলকট প্রভৃতি অনেকানেক বিচক্ষণ ও পণ্ডিত লোক এই ব্যাপার স্বচক্ষে দেখিয়াছিলেন । একবার কতকগুলি ইংরাজ রণজিৎ সিংহকে কহিলেন “মহারাজ ! আপনার হরিদাস এক জন প্রতারক । তাহার যোগবল ও সমাধিধারণ সকলই মিথ্য। মৃত্তিকার ভিতরে পুতিয়৷ রাখা হইলে তাহার শিষ্যেরা প্রহরী দিগকে উৎকোচ দিয়া রাত্রিকালে তুলিয়া আনে। পরে যোগীর উঠিবার নির্দিষ্ট দিন উপস্থিত হইলে পুনৰ্ব্বার তাহাকে পুতিয়া আইসে"। এই কথা মহারাজের মনে লাগিল না । এক দিন তিনি জেনারল ভেঞ্চর ও ওয়েড সাহেবকে বলিলেন “ভাল, সন্দেহ রাখিয়া কাজ কি ! অ’র একবার যোগীর পরীক্ষা লওয়া যাউক ৷” ওয়েড সাহেব ভেঞ্চুরাকে কহিলেন"আপনি সাবধানে হরিদাসকে পুতিবেন, এবং উঠিবার নির্দিষ্ট দিন উপস্থিত হইলে আমি স্বয়ং আসিয় তাহাকে তুলিব” । রণজিৎ সিংহ হরিদাসকে ডাকিয়া বলিলেন “মহাশয়, আর এক বার আপনার সমাধিধারণ দেখিবার জন্ত আমাদের অত্যন্ত কৌতুহল জন্মিয়াছে ।