পাতা:মলিন মালা - গিরিশচন্দ্র ঘোষ.pdf/১২৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

হিন্দুজাতির যোগবল ও হরিদাস যোগী । ৫৭ হইয়া ছিলেন। তাহাকে পুনর্বার সিংহাসনে বসাইবার জন্ত ইংরাজেরা রণজিতের সহিত মিত্রতা করিত্তে আসিয়া ছিলেন । ধ্যানসিংহ গোপনে মহারাজের মন ভাঙ্গিয়া দিলেন ; এবং হরিদাসকেও এই বলিয়া বুঝাইয়া ছিলেন যে, ইংরাজের পঞ্জাব জয় করিবার জন্ত অত্যন্ত ব্যগ্র হইয়াছে ? কিন্তু আপনি জীবিত থাকিতে মহারাজের কোন অমঙ্গল ঘটবে না । তাই তুষ্টেরা কৌশলক্রমে আপনার প্রাণবধ করিবার চেষ্টা করিতেছে। হরিদাসের মনে এই বিশ্বাসটী বদ্ধমূল হইয়া গিয়াছিল। যথার্থই যদি ইংরাজ দিগের হরভিসন্ধি থাকে, তাহা হইলে যোগে বসিলেই প্ৰাণ যাইৰে ; না বসিলেও মান থাকিবে না । প্রাণ দিয়া মান রাথি, কিম্বা মান হারাইয়া প্রাণ বাচাই, এইরূপ উভয় সঙ্কটে পড়িয়ী হরিদাস কিছু ভীত ও বিষন্ন হইয়াছিলেন। অবশেষে তিনি ভাবিলেন, প্রাণের ভয়ে মান দিয়া কলঙ্ক কিনিব কেন ! প্রাণ যায় যাউক । এই বলিয়। তিনি সমাধিস্থ হইতে অগত্যা সম্মত হইয়া ছিলেন । কিন্তু অস্বরন সাহেব আর কৌতুক দেখিতে চাহিলেন না । মহারাজ রণজিৎ সিংহ হরিদাসের অলৌকিক ক্ষমতায় পরিচয় পাইয়া ভঁাহাকে দেবতার স্যায় ভক্তি করিতেন । মহারাজ পূর্বেই ভঁাহাকে বলিয়া ছিলেন “চল্লিশ দিন আপনাকে মৃত্তিকার ভিতর পুতিয়া রাখিব । তাহার পর তুলিলে যদি আপনি জীবিত্ত থাকেন, আমি প্রতিজ্ঞা করিয়া বলিতেছি, সপরিবারে আপনার শিষ্য হুইয়া থাকিব ; এবং চির কালের জঙ্ক আপনি লাহোরে থাকিবেন।" সাধু কি করিতেছেন,