পাতা:মলিন মালা - গিরিশচন্দ্র ঘোষ.pdf/১৩৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জাহাঙ্গীর বাদসাহের দরবার | ৩৭ রাজদূত ও র্তাহার উপহার সামগ্ৰী গুলি নিরাপদে আজমীরে পেছাইয়া দিবার জন্ত সাহায্য দানে প্রতিশ্রত হইয়া ছিলেন । তিনিও তাহাদিগের আশ্বাসে আশ্বস্ত হইয়া সুরাটে আরও কয়েক দিন অপেক্ষা করিতে লাগিলেন । কিন্তু তাহার আজমীর যাত্রার তখনও কোন বিশেষ বন্দোবস্ত না দেখিয়া তিনি তাহাদিগকে পুনঃ পুনঃ উত্ত্যক্ত করিতে লাগিলেন। অবশেষে গমনোপযোগী সমস্ত আয়োজন করিয়া দেওয়া হইলে তিনিও নবাব সনদর্শনে সুরাট পরিত্যাগ করিলেন। কিন্তু বুরহানপুর পর্য্যন্ত র্তাহাকে গাড়ী করিয়া দেওয়া হইল । বুরহানপুরে উপস্থিত হইলে তিনি অনায়াসে আজমীর যাইতে পারিবেন, তাহাকে এইরূপ বুঝাইয়া দেওয়া হইয়া ছিল । কিন্তু বুরহানপুরে যাইতে র্তাহার পনর দিন লাগিয়াছিল ; এবং এই পনর দিন তাঙ্গকে বিশেষ কষ্ট পাইতে হইয়াছিল । মধ্যে এমন এক খানি বাড়ী পান নাই যে, তাহাতে তিনি এক দিনের জন্তও সুস্থির হইয়া বাস করেন । পথমধ্যে চিতোরের রাণাদিগের পাৰ্ব্বতীয় রাজপুত প্ৰজাগণ থিক দিগের সর্বস্ব কাড়িয়া লইয়া তাহাদিগের প্রাণ বধ করিত । এজন্য তিনি স্বরাট হইতেই কয়েক জন অশ্বারোহী মোগল সৈন্ত লইয়া গিয়া ছিলেন । অশেষ ক্লেশ পাইয়} অবশেষে তিনি বুরহানপুরে আসিয়া উপস্থিত হইলেন। এই নগর সুরাটের ১২৫ ক্রোশ পূৰ্ব্বে অবস্থিত । তথায় জাহাঙ্গীরের দ্বিতীয় পুত্র কুমার পারবেজ একটী সেনানিবেশের অধিনায়ক হইয়া দক্ষিণাত্যে অবস্থান করিতে ছিলেন । সেনাপতি খা খানানও তৎকালে তাহার সহিত বাস করিক্তে