পাতা:মলিন মালা - গিরিশচন্দ্র ঘোষ.pdf/১৩৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জাহাঙ্গীর যাদসাহের দরবার | * অবশেষে রো সাহেব ২৫ শে মার্চ আজমীরে গিয়া উপস্থিত কইলেন । কিন্তু সেখানে গিয়াই বাদগাহের সহিত সাক্ষাৎ হইল না। ভ্রমণ-ক্লাস্তি বশত: পূর্বেই বুরহানপুরে তাহার জর হইয় ছিল ; এবং সেই জর হইতে সম্পূর্ণ আরোগ্য লাভ করতে ন করিতেই তিনি আজমীরে আসিয়t উপস্থিত হইলেন । সুতরাং এখানে আসিয়া তাহার আরও জর বৃদ্ধি হইল । জ্বরের প্রকোপে তিনি কয়েক দিন অজ্ঞান হইয়া শয্যাগত রহিলেন । অবশেষে কিয়দিন আজমীরে বশ্রাম করিয়া সম্পূর্ণরূপ সুস্থ হইলে পর ১০ই জানুয়ারি তিনি সম্রাটের দরবারে গিয়া উপস্থিত হইলেন । বুরহানপুরে কুমার বাহাদুর পারবেজের দরবার দেখিয়া তিনি যেরূপ মুগ্ধ হইয়া ছিলেন, এবার জাহাঙ্গীর বাদগাহের দরবার দেখিয়া তদপেক্ষ অধিকতর বিস্ময়াবিষ্ট হইলেন । দেখিলেন, রজত-স্তস্ত-বেষ্টিত স্থপ্রশস্ত সভাগৃহ দীপ্তিময় হইয়। আছে । তন্মধ্যে মহামূল্য মণি-মুক্তাদি-খচিত সিংহাসন বহুমূল্য পারস্যদেশীয় গালিচার উপর সংস্থাপিত হইয়া সভামণ্ডপ সমুজ্জল করিয়া রাখিয়াছে । সম্রাট সেই কারু-কাৰ্য্যবিশিষ্ট ট্যুতিময় সিংহাসনে উপবিষ্ট রহিয়াছেন । সিংহাসনের চতুর্দিক হইতে উখিত চারিট সুবর্ণ-দণ্ডের উপর সংশ্লিষ্ট হীরকাদি মণ্ডিত চন্দ্ৰাতপ চাকৃচক্যশালী হইয়া দোতুল্যমান হইতেছে । সিংহাসনের উভয় পার্শ্বে উচ্চ বেদীর উপর রাজকুমার ও উচ্চপদস্থ ওমরাহগণের বিচিত্র আসন বিন্যস্ত রহিয়াছে। সম্রাটের চতুদিকে উন্মুক্ত কৃপাণ ও শাণিত বর্ষ। হস্তে রক্ষিগণ নিঃশব্দে পদ সঞ্চরণ করিতেছে। সভাগৃহের