পাতা:মলিন মালা - গিরিশচন্দ্র ঘোষ.pdf/১৪১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জাহাঙ্গীর বাদসাহের দরবার । ጫ« কৌতুক দর্শন করিতেন । ৩,৪ টার সময় দরবার গৃহে গিয়া রাজকাৰ্য্য দেখিতেন। তাহার আলন ভূতল হইতে কয়েকটা জবিরোহিণীর উপর সংস্থিত ছিল । তাহার ওমরাহগণ সৰ্ব্বনিম্ন হইতে তিনটী অধিরোহিণীর উপর নিজ নিজ আসনে উপবিষ্ট থাকিতেন । পদমৰ্য্যাদা অনুসারে তাহারা তিন শ্রেণীতে বিভক্ত হইতেন । দরবারের বাহিরে সাধারণ লোকে বিচার কাৰ্য্য দেখিবার জন্য দাড়াইয়া থাকিত । তুই জন সন্ত্রান্ত নপুংসক আসিয়া রাজদূত রো সাহেবকে পূৰ্ব্বোজ দরবারে লইয়া গেল । রে সাহেব কহেন “সমটের দরবারে গিয়। আমার মনে হইল, যেন আমি লণ্ডন নগরের কোন নাট্যশালায় বসিয়া আছি ; এবং কোন রাজার সমক্ষে নাটকাদি অভিনীত হইতেছে ”। আকবর সাহ নিয়ম করিয়া ছিলেন যে, যে কেহ হউক না কেন মোগল দরবারে বাদসাহের নিকট আলিতে হইলে ভূমির দিকে মস্তক অবনত করিয়া আলিতে হইবে । রে সাহেব প্রতীচ্যদেশীয় লোক ; সুতরাং তিনি এরূপ রীতি রক্ষা করিতে কিঞ্চিৎ অনিচ্ছা প্রকাশ করিলেন । তিনি বলিলেন “আমি আমার স্বদেশীয় সম্রাটের প্রতি যেরূপ ভক্তি ও সম্মান প্রকাশ করি, ভারত সম্রাটের প্রতিও ঠিক সেইরূপ করি।” তিনি সম্রাটের জাজ্ঞানুসারে নিম্ন হইতে তিনটী অধিরোহিণীতে ক্রমশঃ আরোহণ করিতে লাগিলেন । কিন্তু প্রত্যেকটাতে আরোহণ করিবার সময় তাহাকে এক এক বার মস্তক নত করিয়া সেলাম করিতে হইয়া ছিল। অবশেষে তিনি সৰ্ব্বোচ্চ স্থানে উঠিয়া দেখিলেন ষে রাজা, আমির ও অন্যান্য প্রধান প্রধান রাজমস্ত্রীদিগের