পাতা:মলিন মালা - গিরিশচন্দ্র ঘোষ.pdf/১৪৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জাহাঙ্গীর বদলাহের দরবার | *מל অনুপম রূপ-লাবণ্য ও চিত্রকৌশল দেখিয়া বড়ই প্রীত হইলেন ; কিন্তু দৈত্যের কৃষ্ণবর্ণ বিকটমূৰ্ত্তি দেখিয় অত্যন্ত বিরক্ত হইয়া উঠিলেন । পরিশেষে মনে মনে ভাবিলেন, ইহা আমাদেরই বিষয় লইয়া চিত্রিত হইয়াছে। এই কৃষ্ণবর্ণ পুরুষমূৰ্ত্তি আমার, এবং ঐ শুভ্রকাস্তি রমণী-মূৰ্ত্তি মুরমহলের । রো সাহেব সে দিনের সেই বিভ্ৰাট দেখিয়া সভয়চিত্তে বাসার ফিরিয়া আসিলেন । পরদিন তিনি প্রধান প্রধান ওমারাহগণের সাহায্যে বাদসাহকে প্রকৃত বিষয় বুঝাইয়া দিয়া তাহার সন্তোষ সাধন করিলেন । 1. জন্মতিথি উপলক্ষে স্বর্ণ, রৌপ্য ও মণি-মুক্তাদিতে তুলিত হওয়া মোগল সম্রাটদিগের কৌলিক প্রথা ছিল। আকবর বাদসাহই এই প্রথার প্রথম প্ৰবৰ্ত্তক ছিলেন, এরূপ জনশ্রুত্তি আছে । রে সাহেব জাহাঙ্গীরের জন্মদিনে রাজ-ভবনে নে সকল উৎসবের কথা নিজ গ্রস্থে লিখিয়া গিয়াছেন, তাহ। এ স্থলে বিবৃত হইল। “অদ্য ১লা সেপ্টেম্বর । রাজধানী উৎসবময়ী । নগরের প্রত্যেক গৃহেই নৃত্য গীত হইতেছে । রাজপথ লোকাকীর্ণ ও কোলাহল-পূর্ণ। রত্নগর্ভ ভারতভূমির যাবতীয় রত্ন আজ সম্রাটকে সুসজ্জিত করিবে । প্রাসাদপ্রাঙ্গণ রজত-স্তস্তে বিরাজিত, এবং তোরণ দেশ বহুবিধ সুগন্ধি পুষ্প মালায় বিভূষিত হইয়াছে। রক্তবর্ণ মোগল পতাকা প্রাসাদের সৰ্ব্বোচ্চ স্থানে উচষ্টীয়মান হইয়া মোগল সম্রাটের বিজয় ঘোষণা করিতেছে । বস্তুতঃ, রাজধানী বহুবিধ রত্ন মালায় বিভূষিত হইয় অমরাবতীর রূপ ধারণ করিল। দীন দরিদ্রের সাজ সকলেই হৃষ্টচিত্ত ; কারণ সম্রাট তুলাদণ্ডে