পাতা:মলিন মালা - গিরিশচন্দ্র ঘোষ.pdf/১৫০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

名锣 প্রবন্ধ-পাঠ । পণ্ডচৰ্ম্ম পরে,বনের ফল মূল ও মদ্য মাংস খায় । বনের ভিক্তর ঘোড়ার ডাক শুনিয়া সকলে দেখিতে আসিল । আসিয়া দেখে, গাছে কয়েকটা ঘোড় বাধাও তাহাদের পৃষ্ঠে বহুমূল্য সোণ রূপার সাজ। মাটিতেও কয়েক জন সুপুরুষ শুইয়। ঘুমাইতেছেন । র্তাহাদেরও সৰ্ব্বাঙ্গ মণি-মানিক্যে ভূষিত । নীচলোকের নীচপ্রবৃত্তি ; মনে লোভ আসিয়া জুটিল । লোভেই পাপ ; তাহারা নিদ্রাবস্থাতেই জগৎ সিংহ ও তাকার অনুচরদিগকে বিনষ্ট করিল। কিন্তু পাপের ধন ভোগে আসিল না। আরঙ্গজিব এবং নসেরিত গিয়৷ সেই দস্থ্যদিগকে বধ করিলেন । জগৎসিংহের ভাণ্ডারে স্বর্ণ, রৌপ্য ও হীরা মুক্তায় ত্ৰিশ লক্ষ টাকার সম্পত্তি ছিল। আরঙ্গজিব সেই সমস্ত সম্পত্তি লইয়। গিয়া পিতার পাদপদ্মে ধরিয়া দিলেন । ভারতে বিজয়-ডঙ্ক। বাজিল। আরঙ্গজিব যুদ্ধে পদার্পণ করিলেই সৌভাগ্য-লক্ষ্মী অগ্রে অগ্ৰে পতাকা ধরিয়া চলিতেন । উজবেক এবং পারস্যেরা সে সময়ের প্রসিদ্ধ রণপণ্ডিত জাতি । আরঙ্গজিব তাহাদিগকে সংগ্রামে পরাস্ত করিলেন । পুত্রের অসাধারণ সাহস ও রণনৈপুণ্য দেখিয়া শাজেহানের আলাদের সীমা রহিল না । কিন্তু দারা জ্যেষ্ঠ পুত্র। জ্যেষ্ঠ পুত্রই রাজ্যের অধিকারী । অতএব সম্রাট দারাকে অতিক্রম করিয়া অনাকে রাজপদে অভিষিক্ত করিতে পারিবেন না, আরঙ্গজিব তাহা মনে মনে জানিতেন । তদ্ভিন্ন দারার প্রতি র্তাহার জাঙ্করিক স্নেহ ছিল । তজ্জন্য আরঙ্গজিব এই স্থির করিলেন যে, বিশেষ কৌশল না করিলে তাহার ভাগ্যে রাজসিংহাসন প্রাপ্ত হওয়া দুষ্কর । এজন্য বাল্যকাল হইতেই তিনি