পাতা:মলিন মালা - গিরিশচন্দ্র ঘোষ.pdf/১৫২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

bペ9 প্রবন্ধ-পাঠ । তোমার কিছুই অবিদিত নাই। কি করি, পরমগুরু পিতার অনুরোধ, তাই বিষয় কৰ্ম্ম দেখিতেছি ; নতুবা সংসারে তিলাৰ্দ্ধকাল থাকিবার স্পৃহা নাই। যাহা হউক, এখন সত্যুক্তি এই যে, তোমার হস্তে রাজ্যভার অপণ করিয়া আমি মক্কা যাই । এখন আইস আমাদের উভয়ের সৈন্য লইয়া আগরায় যাই” । খলের কুচক্রে দেবতারা ও পড়িয়া যান, মানুষের ত কথাই নাই। আরঙ্গজীবের কুহকবাকো মুরাদের মন ভুলিয়। গেল । তিনি নৰ্ম্মদণতীরে আসিয়। আরঙ্গজীবের সহিত সাক্ষাৎ করিলেন । শাজেহানের জীবন সঙ্কটাপন্ন হুইয়াছিল, এখন পীড়ার প্রকোপ অনেকটা কমিয়া আসিয়াছে । দার। নিৰ্ব্বিবাদে পিতাকে সিংহাসন ছাড়িয়া দিলেন । কিন্তু সুজা প্রভূতিব সে কথা বিশ্বাস হইল না। তাহার। বুঝিলেন, লোকে যে আরোগ্যের সংবাদ রটাইতেছে, তাহ অমূলক । ইহার ভিতরে দারার নিশ্চয়ই কোন তুরভিসন্ধি আছে। সুতরাং যুদ্ধ করাই তাহাদের দৃঢ় সঙ্কল্প হইল । দণর পূর্বেই সুজার দুরভিসন্ধির সংবাদ পাইয় ছিলেন । এজন্য তিনি স্বীয় পুত্র সলিমান ও রাজা জয়সিংহকে প্রয়াগের দিকে পাঠাইয়া দিলেন । কিন্তু গৃহবিচ্ছেদ ঘটে, সম্রাটের এরূপ ইচ্ছ। নয়। এজন্ত শাঙ্গেহান গোপনে জয়সিংহকে বলিয়া পাঠাইলেন যে, তিনি যেন স্বজাকে বুঝাইয়া পুনৰ্ব্বার বাঙ্গালায় পাঠাইয়া দেন, কারণ বিরোধে প্রয়োজন নাই । সলিমান ও জয়সিংহ কাশীতে উপস্থিত হইয়া দেখিলেন,অপরপারে লুজ রহিয়াছেন । সম্রাটের আজ্ঞানুসারে জয়সিংহ তাহাকে