পাতা:মলিন মালা - গিরিশচন্দ্র ঘোষ.pdf/১৫৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

* প্রবন্ধ-পাঠ । অধিক। যুদ্ধক্ষেত্রে যুদ্ধে পরাস্ত হওয়া নুতন কথা নয় ; কিন্তু যুদ্ধক্ষেত্র হইতে যুদ্ধে ভঙ্গ দিয়া পলাইয়! জাস রাজপুত বংশের মধ্যে তোমার নিকট আজি নুতন দেখিতেছি । বোধ হয় তুমি আমার সে পতি নও, কোন প্রতারক,–ছল করিয়৷ দ্বারের কাছে ডাকিতেছ। আমার যিনি পতি, জাজি তিনি সমরক্ষেত্রে বীরশয্যায় শুইয়া আছেন । তুৰ্ম্মতি দ্বার ছাড়িষা দে, আমি চিত্ত সাজাইয়। পতির অনুগমন করিব।” মনস্বিনী রাজপুত-রমণীদিগের তেজস্বিত ধন্ত । বীরত্বের এত তাদের ! যুদ্ধের নাম শুনিলে তাহাদের শিরায় শিরায় তপ্ত-শোণিত-স্রোতঃ ছুটিয়া বেড়াইত । আরঙ্গজীবের জ্যেষ্ঠ ভ্রাতার এক প্রকার নিরস্ত হইলেন । জয়সিংহ প্রভৃতি যে সকল মহাবীর দারার প্রধান সেনাপতি, আরঙ্গজীব পুনঃপুনঃ পত্র লিখিয়া এবং চর পাঠাইয় তাহাদের মন ভাঙ্গিয় দিলেন । সেনাপতিরাও ভাবিলেন, দারার আর মঙ্গল নাই । শাজেহ’নেরও দিন ফুরাইয়াছে ; বুলিতে গেলে এই বিশাল রাজ্য অরঙ্গ জীবের করায়ত্ত । ইহা দেখিরাই প্রধান প্রধান সেনাপতি দারার অবাধ্য হইয়া উঠিলেন । এখন সিংহাসনের প্রধান কণ্টক স্বয়ং সম্রাট । মুরাদ আর এক জন প্রতিযোগী। এই দুই জনকে নিরস্ত করিতে পরিলেই মনোরথ পূর্ণ হয়। শঠের অসাধ্য কিছুই নাই । আরঙ্গজীব বুঝিয়া দেখিলেন, এখনও বল প্রকাশের সময় আইসে নাই ; তাহার অভীষ্ট-সিদ্ধির জন্ত শঠতাই একমাত্র উপায় । এজন্য মুরাদকে সঙ্গে লইয়। তিনি আগরার নিকট আলিয়া শিবির সন্নিবেশ করিলেন । আরঙ্গুজীব এক