পাতা:মলিন মালা - গিরিশচন্দ্র ঘোষ.pdf/১৫৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৯২ প্রবন্ধ-পাঠ । বীর মহিলা । সম্রাট তাহাদিগকে ও অন্ত্রশস্ত্ৰ দিয়া সাজাইয়া রাখিলেন । এদিকে আরঙ্গজীব,পুত্রকে কথা শিখাইয়া শাজেহানের নিকট পাঠাইলেন । মল্লাহ্মদ ফুর্গে প্রবেশ করিয়া একবার চারিদিক ঘুরিয়া অসিলেন, কোথাও কেহ নাই। অস্তঃপুরে গিয়া দেখিলেন, সেখানে অনেক অস্ত্রধায়ী লোক লুকাইয়া আছে। তিনি সম্রাটকে স্পষ্টই ৰলিলেন,—“এই সকল লোক দেখিয়া আমার সন্দেহ হইতেছে । ইহার তুর্গে থাকিলে পিত। এখানে অলিবেন না"। শাজেহানের দুৰ্ব্বন্ধি ঘটল,তিনি তাহাদিগকেও বাহির করিয়া দিলেন । মল্লাহ্মদ দেখিলেম চারিদিক পরিষ্কার হইয়াছে। এখন দুর্গের ভিতরে সম্রাটের অপেক্ষ নিজের লোকই অধিক । ভারঙ্গজীবের নিকট এই সংবাদ গেল । তৎক্ষণাৎ লোক সিয়া বলিল যে, যুবরাজ প্রস্থত হইয়াছেন, এখনিই আসিয। সাক্ষাৎ করবেন । সমাট তাহার প্রতীক্ষায় বসিয়া থাকিলেন । আরক্ষজীব, আপনার দেহরক্ষক ও পরিষদ দিগকে লইয়া অশ্বারোহণে একবারে দুর্গের দিকে আদিলেন। কিয়ন্ত্র আসিয়া আকৃবরের কবরের দিকে চলিয়া গেলেন । শাজেহান এই সংবাদ পাই | ক্রোপভরে মক্ষদকে বলিলেন,—“তোমর পিতা যদি এখানে আলিবে না,তবে তুমি কি করিতে এখানে আসিয়াছ ?" মক্ষদ বিনীতভাবে উত্তর করলেন,–“মহাশয় ! আমি রাজকাৰ্য্যের ভর বুঝিয়া লইতে অসিয়াছি । আমাকে ভাণ্ডারের চাবি দিউন" । সম্রাট তখন আপনার ফঁাদে আপনি, পড়িয়াছেন, আর উপায় নাই । কাজেই মস্কদের হন্তে সমস্ত ,চাবি ফেলিয়া দিতে বাধ্য হইলেন । o