পাতা:মলিন মালা - গিরিশচন্দ্র ঘোষ.pdf/১৬০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ఏ8 &यक्क->iांठे । আরঙ্গজীব পরাস্ত হইবার নহেন। উভয়ের আকার-ইঙ্গিত দেখিয়া তাহার মনে কেমন সন্দেহ জন্মিল । তিনি কাতর হইয়া মুরাদকে বলিলেন,—“ভাই ! আজি আমোদ করা হইল না। অামার পেটে অত্যন্ত বেদন ধরিয়াছে। তুমি সমস্ত প্রস্তুত করিয়া রাখিবে, আমি আবার কল্য আসিব” । এই কথা বলিয়া তিনি দ্রুতবেগে তাম্বুর বাহিরে আপনার দেহরক্ষকদিগের নিকট উঠিয়া গেলেন । আরঙ্গজীব ছলনা করিয়া তিন চারি দিন শয্যাগত থাকিলেন । উদরবেদনার চিকিৎসা চলিতে লাগিল ৷ মূৰ্বাদের সরল মন ; তিনি বুঝিলেন, সতাই পীড়া হইয়া থাকিবে, ইহাতে কোন প্রকার চাতুরী নাই । তিন চারি দিনে পীড়া কমিয়া গেল । আরঙ্গজীব মুরাদকে বলিয়া পাঠাইলেন,-“ভাই ! সে দিনের তত উদ্যোগে অামি বড় ব্যাঘাত ঘটাইয়াছি । সে জন্ত আমার অত্যন্ত মনঃকষ্ট হইয়াছে । যাহা হউক, অদ্য আমার তাম্বুতে তোমার নিমন্ত্রণ । নিমন্ত্রণ রক্ষা করিতে গেলে বিপদে পড়িতে হইবে, এ কথা মুরাদের পারিষদের অনেক বুঝাইলেন ; কিন্তু তিনি কাহার ও নিযেধ মানিলেন না । দেহরক্ষকের বাহিরে থাকিল ; তিনি চারি জন প্রধান সদারকে সঙ্গে লইয়া আরঙ্গজীবের তাম্বুতে প্রবেশ করিলেন । নুত্য গীত ও মদ্যপান চলিতে লাগিল। মুরাদ ও র্তাহার পারিষদের মদে হতচৈতন্ত ; যাবতীয় দেহ-রক্ষক মদের নেশায় দুলিয়া পড়িয়াছে । এই সুযোগে আরঙ্গজীব আপনার কনিষ্ঠ ভ্রাতাকে বধিয়া আগরায় পাঠাইয়া দিলেন । কথিত আছে, আগরায় পৌছিলে র্তাহার মস্তকচ্ছেদন করা হইয়াছিল ।