পাতা:মলিন মালা - গিরিশচন্দ্র ঘোষ.pdf/১৬৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

See প্রবন্ধ-পাঠ । সৈন্ত নাই । যাহার ; আছে, তাহারাও পীড়া ও পথিশ্রমে কাতর" এই কারণ্ডেই জাইহন আমাকে পারস্ত পৰ্য্যন্ত রাখিয়া আসিবার জন্ত সঙ্গে আসিতেছেন । কিন্তু জাইহনের সেরূপ ধৰ্ম্ম নহে। উপকার পাইলে কৃতজ্ঞ হইতে হয়, গুরুর নিকট তিনি সে পাঠ লইতে ভুলিয়া গিয়াছিলেন। তিনি অর্থের গৌরব অধিক বুঝিতেন। দারাকে ধরিয়া দিতে পারিলে আরঙ্গজীবের নিকট পুরস্কার পাইব, এই লোভেই তিনি দারা ও র্তাহার মধ্যম পুলকে ধরিয়া খজেহানের হস্তে সমর্পণ করিলেন । এখন দারার অবস্থা বড় শোচনীয়। অঙ্গে ছিন্ন বস্ত্র ; মস্তকে মলিন পাগড়ী। তাহার পুত্রেরও অবস্থা সেই রূপ । খ-জেহান তাহাদিগকে একটা হস্তীর উপরি চড়াইয়া দিল্লীতে আনিলেন । দারার দুরবস্থা দেখিয়া নগরের পশুপক্ষীরাও কাদিতে লাগিল ; কিন্তু আরঙ্গজীবের হৃদয় ব্যথিত হইলন। তিনি জ্যেষ্ঠ ভ্রাতার ও ভ্রাতু-পুত্রের তুর্দশ প্রজাবৰ্গকে দেখাইবার জন্ত র্তাহাদিগকে একবার নগর প্রদক্ষিণ করাইয়া একটা নির্জন স্থানে আবদ্ধ করিয়া রাখিলেন। দারা জানিয়াছিলেন, মৃত্যু নিশ্চিত । তিনি পূৰ্ব্ব হইতে বস্ত্রের ভিতরে একখানি ছুরী, একটী কলম, দোয়াভ ও কয়েকখানি কাগজ লুকাইয়া রাখিয়াছিলেন। কারাগারে কলম কাটিতেন, আর বসিয়া বসিয়া দুঃখের কবিতা লিখিতেন । যখন শোকের বেগ উথলিয়া উঠিত, এক একবার পুত্রের গলা ধরিয়া কঁদিতেন । আরঙ্গজীবের দরবার বসিল। দারা জ্যেষ্ঠ, তাড়াতাড়ি রাজা হইতে গিয়াছিলেন, তাহার কি দণ্ড করা কর্তব্য ? অনেকেই