পাতা:মলিন মালা - গিরিশচন্দ্র ঘোষ.pdf/১৬৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আরঙ্গজীব ও তৎসাময়িক বৃত্তাস্ত । ১০৩ আরঙ্গজীব অধীর হইয়া উঠিয়াছেন, এমন সময়ে আবার তিনি শুনিতে পাইলেন শিবাজী সুরাটে মোগল দিগের বন্দরে ভয়ঙ্কর উপদ্রব করিতেছে । তখন তিনি উপায়াত্তর না দেখিয়া শিবজীর সহিত বন্ধুতা করাই সিদ্ধাস্ত করিলেন । সম্রাট শিবজীর সস্তোব সাধনের জন্য দরবারে বসিয়া তাহার গুণ- ; কীৰ্ত্তন করিতে লাগিলেন ; এবং শিবজীকে দিল্লীর দরবারে : নিমন্ত্রিত করিয়া আনিবার জন্য জয়পুরের রাজাকে তাহার নিকট পাঠাইয়া দিলেন । শিবজী : সম্রাট দরবারে উপস্থিত হইয়া দেখেন যে অযথোচিত স্থানে তাহার আসন নিদিষ্ট রহিয়াছে। তখন তিনি অত্যন্ত ক্ষুণ্ণমনাঃ হইয়া ও ভিক্ষুকের বেশে দিল্লী পরিত্যাগ করিয়া অবশেষে পুনায় আসিয়া উপস্থিত হইলেন । আরঙ্গজীবের রাজ্যলাভের কৌশল এই ! ইহাতে নিষ্ঠুরতা ভিন্ন বুদ্ধিমত্বার কিছুই পরিচয় নাই। পিতা পুত্রে, ভ্রাতায় ভ্ৰাতায় এবং প্ৰভু ভূত্যে কাজ । যখনি অবিশ্বাস, তখনি আবার একটু কাদিলেই বিশ্বাস স্নেহ ও মমত। আসিয় পড়ে। এরূপ স্থলে যে অধিকতর পাষণ্ড তাহারই জয় হইয়া থাকে । কুকৰ্ম্মান্বিত লোকেরা আপনাদের কলঙ্ক ঢাকিবার নিমিত্ত এক একটী সৎকৰ্ম্মও করে। আরঙ্গজীবও এই কৌশল বিলক্ষণ বুঝিতেন। একবার ভারতবর্যের সর্বত্র অত্যন্ত তুর্ভিক্ষ হয়। তিনি রাজকোষ হইতে টাক দিয়া প্ৰজাগণের আনুকূল্য করিয়াছিলেন। যত্বপূৰ্ব্বক বিদ্যা শিক্ষা করা, আমাদিগের দেশে রাজপুত্রদিগের ভাগ্যে প্রায়ই ঘটে না । তাহাদিগের বাল্যকাল প্রায় আহলাদ অামোদেই কাটিয়া যায় । কিন্তু আরঙ্গজীব