পাতা:মলিন মালা - গিরিশচন্দ্র ঘোষ.pdf/১৭১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আরঙ্গ জীব ও তৎসাময়িক বৃত্তান্ত । ১০৫ আমোদ আহলাদের পর তিনি দেওয়ান-ই-আম গৃহে সভা করিয়া বসিতেন । এই সময়ে আমীর ওমরাহ ও বিদেশীয় রাজদূত প্রভূতি সকলে আসিয়া তাহার সহিত সাক্ষাৎ করিতেন । শুক্রবারে দরবার বন্ধ থাকিত । খৃষ্টধৰ্ম্মাবলম্বীদিগের পক্ষে যেমন রবিবারমুসলমানদিগের পক্ষেও শুক্রবার তরূপ। তাইসম্রাট এই দিন বিষয়-কৰ্ম্ম দেখিতেন না। অন্তান্ত মুসলমান সম্রাটদিগের অন্তঃপুর অসংখ্য রূপবতী মহিলায় পরিপূর্ণ থাকিত। আরঙ্গজীবেরও অন্তঃপুরে অনেক রমণী ছিল, কিন্তু সে সকল কেবল রাজবাড়ীর শোভার জন্ত ; ফলতঃ বিবাহিত স্ত্রী ভিন্ন ভিনি কখন অন্য নারীর মুখ দেখিতেন না । • তএব আরঙ্গজীবের গুণরাশি দোষরাশির ঠিক বিপরীত। এক দিকে পূর্ণচন্দ্রের জ্যোৎস্না-সৌন্দৰ্য্য, অষ্ঠ দিকে অমাবস্তার নিবিড় অন্ধকার । র্তাহারই রাজত্বকালে বাবরের বহুশ্রমে প্রতিষ্ঠিত ও আকবরের বছযত্নে পরিপুষ্ট মোগল সাম্রাজ্যের পূর্ণোন্নতি ও ক্ষয়লক্ষণ দেখিতে পাওয়া যায় । বস্তুতঃ র্তাহার দুশ্চরিত্রতাই মোগল সাম্রাজ্য-পতনের প্রধান কারণ । প্রজা সন্তুষ্ট না থাকিলে রাজ্য শ্ৰীশ্ৰষ্ট হইয়া যায়। তখন কুটিল রাজনীতি ও অন্ত্রবল মিথ্যা । আরঙ্গজীব আপনার শঠতা ঢাকিবার জন্ত সকলকে ভাল বাসিতেন ; এবং পূর্বে যে সকল লোক তাহার বিরোধী ছিলেন, র্তাহাদিগকেও স্নেহ করিতেন। কিন্তু লোকে বুঝিয়াছিল এ কৌশল বৈ আর কিছুই নয়, হিন্দুর ত কথা কি ?—মুসলমানেরাও মনে মনে তাহার শক্র ছিলেন । খলের প্রেম ওসসপ গৃহবাস উভয়ই সমান বিপদ ঘটিতে অধিকক্ষণ লাগেন । এই গেল সাধারণ লোকের কথা। হিন্দুরা তাহার প্রতি