পাতা:মলিন মালা - গিরিশচন্দ্র ঘোষ.pdf/১৭৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভারতচন্দ্র রায় গুণাকর । ১১১৯ সালে [ ১৭১২ খষ্টাব্দে ] বৰ্দ্ধমান জিলার অন্তঃপাতী ভূরস্থট পরগণায় পাণ্ডুয়া নামক গ্রামে কবিবর ভারতচন্দ্র রায় জন্মগ্রহণ করেন । র্তাহার পিতা রাজা নরেন্দ্রনারায়ণ রায় এক জন সম্রাম্ভ ভূম্যধিকারী ছিলেন । র্তাহার প্রকৃত উপাধি মুখোপাধ্যায় ; কিন্তু প্রভূত পরাক্রমশালী ও অতুল ঐশ্বৰ্য্যের অধিপতি ছিলেন বলিয়া তিনি “রায়” ও “রাজা” এই দুই সন্মানস্বচক উপাধি প্রাপ্ত হইয়াছিলেন। মহারাট্ট-নায়ক শিবজীর সময় হইতে “বৰ্গীর হাঙ্গাম” ভারতেতিহাসেৰ্ব্ব একটা সৰ্ব্বপ্রধান ঘটনা। অদ্যাপি “বৰ্গীর হাঙ্গামের” নাম শুনিলে অম্মদেশীয় আবাল-বৃদ্ধ সকলেরই হৃৎকম্প উপস্থিত হয়। এই দুৰ্ব ভ নরপিশাচদিগের হস্ত হইতে রক্ষণ পাইবার জন্য তৎকালীন প্রধান প্রধান ধনাঢ্য লোকেরা স্ব স্ব বাটীর চতুর্দিকে গড়বন্দী করিয়া রাথিতেন । তদনুসারে রাজা নরেন্দ্রনারায়ণের ও গৃহের চতুৰ্দ্দিকে দুর্ভেদ্য গড়বঙ্গী করা ছিল । এজষ্ঠ সেই স্থান অদ্যাপি “পেড়োর গড়’ নামে আখ্যাত হইয়া থাকে । নরেন্দ্রনারায়ণ রায়ের চারি পুত্র ছিল ; তন্মধ্যে ভারতচন্দ্র সৰ্ব্ব কনিষ্ঠ । কথিত আছে ভারতচন্দ্রের ৯১ ৯ বৎসর বয়ঃক্রম কালে স্বীয় অধিকার-ভুক্ত ভূমির সীমা সম্বন্ধীয় কোন এক বিবাদস্তুত্রে নরেন্দ্রনারায়ণ, বৰ্দ্ধমানাধিপতি মহারাজ কীৰ্ত্তিচন্দ্র রায় বাহাদুরের জননী শ্ৰীমতী মহারাণী বিষ্ণুকুমারীকে কতকগুলি কটুবাক্য প্রয়োগ করেন । কীৰ্ত্তিচন্দ্র তৎকালে অত্যস্ত শিশু ছিলেন ; মহারাণী দুৰ্ব্বাক্য শ্রবণে ব্যথিত হইয়। "আলমচন্দ্র” ও “ ক্ষেমঙ্কজ ” নামক দুইজন স্বীয় প্রধান রাজপুত