পাতা:মলিন মালা - গিরিশচন্দ্র ঘোষ.pdf/১৭৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১১• প্রবন্ধ পাঠ । প্রায় কোন দিন ব্যঞ্জন পাক করেন নাই। একটা ধেগুণ পোড়ার অর্ধেক একবেল ও অপরার্ধেক अजा বেলা জাহার করিয়া তাহাতেই পরিতৃপ্ত থাকিতেন " " একদা মুন্সী বাবুদিগের বাটীতে “সতানারায়ণ কথা হইবার আয়োজন হওয়াতে কৰ্ত্ত বাবু কছিলেন “ভারত ! সংস্কৃত ভাষায় তোমার বিলক্ষণ অধিকার জম্মিয়াছে ; বিশেষতঃ খুধি বাকৃপটু ৷ তোমাকেই সত্যনারায়ণের পুথি পাঠ করিতে হইবে।” অনস্তুর মুন্সী মহাশয় জনৈক লোককে পুথি আনয়নের অনুমতি প্রদান করিলে ভারতচন্দ্ৰ কহিলেন "মহাশয় । পু’বি জানিবার আবঙ্গকতা নাই। আমার নিকটেই পুথি আছে ; পূজা আরম্ভ হউক, আমি বাস হইতে শীঘ্র পুথি জানিতেছি।" এই বলিয়, ভারতচন্দ্র বাসায় গিয়া তদণ্ডেই অতি সরল ভাষায় ত্রিপদীচ্ছদে উৎকৃষ্ট কবিতায় পুথি রচনা করিয়া সভাস্থদিগের সমক্ষে উপস্থিত হইয়া তাহ পাঠ করিতে লাগিলেন । গ্রন্থ শেষে "ভারত ব্ৰাহ্মণ কয়" ভণিতি দেখিয়া সকলে আশ্চর্ষ্য হইয় তাহার ভূয়সী প্রশংসা করিতে লাগিলেন । এই ব্ৰত কথা ব্যতিরেকে চৌপদীচ্ছদে তিনি আরও একটী কথা রচনা করেন । এই কবিতা রচনা সময়ে তাহার বয়ঃক্রম পঞ্চদশ বৎসরের অধিক হয় নাই । J. ভারতচন্দ্র জাম্বুমানিক ১১৩৯ সালে দেবানন্দপুর হইতে গৃহে প্রত্যাগমন পূর্বক পিতা, মাতা ও ভ্রাতৃগণের সহিত স্বাক্ষাৎ করিলেন। সকলেই তাহাকে সংস্কৃত ও পারসী ভাষায় কৃতবিদ্য দেখিয়া বিস্ময়াপন্ন হইলেন। ইতিপূৰ্ব্বে নরেজনারায়ণ বর্ণমালাধিপতির নিকট হইতে কিছু ভূমি ইজারা লইয়াছিলেন।