পাতা:মলিন মালা - গিরিশচন্দ্র ঘোষ.pdf/১৭৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভারতচন্দ্র রায় গুণাকর । ১১৩ I o অঙ্গুরোধ করেন । অসম্ভর ভারতচন্দ্র কৃষ্ণনগরে রাজার সজ্জিত সাক্ষাৎ করলে তিনি মাসিক ৪০ টাকা হারে তঁাহার বৃত্তি নির্ধারিত করিয়া দেন । ভারতচন্দ্র প্রভাছ প্রাঃতকালে ও সায়ং- , কালে দুইটা করিয়া কবিতা রচনা করিয়া রাজাকে শুনাইতেন । , , রাজ- তৎশ্রবণে নিরতিশয় প্রীত হইয় তাহাঁকে “গুণাকর" উপাধি প্রদান করেন । অতঃপর এরূপ উদ্ভট কবিতা রচনার প্তাহাকে নিবৃত্ত করিয়া তিনি মুকুন্দরাম চক্রৰতী কুত চঞ্জীর । প্রণালীতে র্তাহাকে “অন্নদামঙ্গল" লিখিতে জহুমতি প্রদান করেন । ভারতচন্দ্র অন্নদামঙ্গল রচনায় নিম্নলিখিত শ্লোকে রাজার আজ্ঞা-প্রাপ্তি স্বীকার করিয়াছেন :– "আজ্ঞা দিল কৃষ্ণচন্দ্র ঘরণী ঈশ্বর । রচিল ভারতচন্দ্র রায় গুণাকর ॥” অন্নদামঙ্গল ও বিদ্যাসুন্দর রচনার পর তিনি সংস্কৃত রসমঞ্জরীর বঙ্গানুবাদ করেন । রায় গুণাকর আশ্চৰ্য্য কবিত্বশক্তিগুণে মহারাজ কৃষ্ণচন্দ্রের পরম প্রিয়পাত্র হইয়া উঠেন। এক দিন পরস্পর কথোপকথনের সময় রাজ ভঁাহার সাংসারিক বিষয় জানিতে চাহিলে তিনি কছিলেন “আমার স্ত্রীকে র্তাহার পিত্রালয়ে রাখিয়া জাসিয়াছি ; ভ্রাতৃগণের সহিত गृनाटका হওয়াতে বাটী ষাইবার ইচ্ছা নাই ; উপযুক্ত স্থান পাইলে স্বর বাধিয়া সংসায়-ধৰ্ম্ম করিতে অভিলাষ আছে।” রাজা বাট প্রস্তুস্ক করিবার জন্য ভারতকে নগদ ১০০ টাকা ও গঙ্গার ধারে মুলাঘোড় গ্রামে বাৎসরিক ৬•• টাকা জায়ের সম্পত্তি ইজারা দিয়া তথা বায়