পাতা:মলিন মালা - গিরিশচন্দ্র ঘোষ.pdf/১৮০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

: 1 o " প্রবন্ধ-পাঠ 8 לכל করিতে কহিলেন। ভারতচন্দ্র ইজারার স্বনা পাইয় প্রথমতঃ অবশেষে স্বীয় গৃহ প্রস্তুত হইলে আপন পরিবার জানাইয়া বাস করিতে লাগিলেন । কিয়দিন পরে তাহায় পিতা ও ভারতের আশ্রয়ে আসিয়া পরলোক প্রাপ্ত হন । ভারত যথোচিত পিতৃকৃত্য সমাপন করিয়া কৃষ্ণনগরে গিয়া নানাবিষয়িণী কবিতা রচনা করিতে আরম্ভ করেন । এই সকল কবিতা এপৰ্য্যন্ত মুদ্রিত হয় নাই । নবাব আলিবন্দী খার অধিকার কালে মহারাষ্ট্রদিগের দৌরাত্ম্য ( বর্গীর হাঙ্গাম ) বাঙ্গাল দেশীয় ইতিহাসের সর্বপ্রধান ঘটনা । তাহাদিগের ভয়ে পলায়ন করিয়া বৰ্দ্ধমানাধিপতি তিলকচন্দ্রের মাত মূলাযোড়ের পূর্বদক্ষিণ কাউগাছী নামক স্থানে গিয়া বাস করেন ; এবং মূলাযোড়ের পত্তনি পাইবার জন্য কৃষ্ণনগরে রাজার নিকট প্রার্থনা করিয়া সফলমনোরথ হন । ভারতচন্দ্র “আমি কোথায় যাইব’ বলিয়। জানাইলে মহারাজ কৃষ্ণচন্দ্র আনরপুরের নিকটবর্তী গুস্তে গ্রামে ১৫০/০ বিঘা এবং মূলাযোড়ে ১৬/০ বিঘ ভূমির স্বত্ব পরিত্যাগ করিয়া তাহাকে গুস্তেতে বাস করিতে অনুমতি দিয়াছিলেন । বৰ্দ্ধমানের রাণী, রামদেব নাগের নামে মূলাযোড় পত্তনি লইয়াছিলেন ; কিন্তু তিনি কর্তৃত্ব-ভার পাইয়া প্ৰজাগণের উপর অত্যাচার করিতে আরম্ভ করেন । ভারতচন্দ্র তাহাদিগের কুর্দশা দেখিয়া ওঁ নাগের দংশনে জর্জর হইয়া সংস্কৃত ভাষায় “নাগাষ্টক” নামক আটট কবিতা রচনা করিয়া মহারাজ কৃষ্ণচন্সের নিকট পাঠাইয়া দেন। রাজা শ্লোকাষ্টক পাঠ করিয়া