পাতা:মলিন মালা - গিরিশচন্দ্র ঘোষ.pdf/১৮৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সাধক রামপ্লমাঞ্চ সেন । ১১৭ ৷ এরূপ জনশ্রুতি মে ইধর নাম দেওয়ান গোলক চঞ্জ ঘোষাল । কেহ কেহ কহেন ইনিই কলিকাতার অন্তর্গত সোনাগাজী' নিবালী নবরঙ্গকুলাধিপ হর্গাচরণ মিত্র। তিনি চাকরী করিতে প্রবৃত্ত হইলেন ৰটে, কিন্তু বিষয়-বাসনায় তাহার বড় বিভূক। " ছিল । বাল্যকাল হইতেই তিমি এরূপ তত্ত্ব-জ্ঞান-পরায়ণ ও লং- । সারবিরাগী ছিলেন যে সামান্য সাংসারিক কৰ্ম্ম করিতে করিতে" বিরক্ত হইয়া উঠিতেন , এবং কখনই তাহা সুসম্পন্ন করিয়া । উঠিতে পারিতেন না। রামপ্রসাদ মোহরের কৰ্ম্মে নিযুক্ত হইয় যে খাতায় মহাজনী হিসাবাদি লিখিতেন, তাহারই প্রত্যেক পৃষ্ঠের লেখনাবশিষ্ট স্থানে অসংখ্য দুর্গ ও কালী নাম এবং ভক্তি-রস-পূর্ণ নানাবিধ সঙ্গীত রচনা করিয়া লিখিয়া রাখতেন । এক দিন তাহার উপরিস্থ কৰ্ম্মচারী ঐ খাতা দেখিতে পাইলেন, এবং রামপ্রসাদের এরূপ কার্ষ্য অত্যন্ত অন্যায় মনে করিয়া তিনি ক্রোধভরে স্বীয় প্রভুর নেত্রগোচর করিলেন । কখন কোন ভুলক্ষ্য স্বত্র অবলম্বন করিয়া দারিদ্র্য-দুঃখ উপস্থিত হয়, ইহা যেরূপ মনুষ্যের অপরিজ্ঞেয়, কখন কোন স্বক্ষমতম স্বত্র আশ্রয় করিয়া সৌভাগ্য-সুখ সমুপস্থিত হয়, ইহাও সেইরূপ তাহাদিগের জ্ঞান-বহির্ভূত। প্রসাদের উল্লিখিত ঘটনাটি শুনিয়া অনেকেই মনে করিতে পারেন যে র্তাহার প্রভু তাহার । ঐ গহিত্যচরণ দেখিয় তাহাকে অবমানিত ও অপদস্থ করিবেন । কিন্তু ঈশ্বরের কি আশ্চৰ্য্য কৌশল ও নিগূঢ় নিবন্ধ ! এই ঘটনাটী রামপ্রসাদের জীবন-স্রোতের পথ পরিষ্কার . করিয়া ছিল। তিনি যে প্রভূর অধীনতায় মোহরের কৰ্ম্মে নিযুক্ত হন, তিনি অত্যন্ত ধীরপ্রকৃতি, গুণগ্ৰাহী ও ঈশ্বর-পরায়ণ ছিলেন। প্রসাদের