পাতা:মলিন মালা - গিরিশচন্দ্র ঘোষ.pdf/১৮৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

कन्न ! हे बइथानि बाडौङ ब्रायथनान “ङ्क्ष्कोर्डन’ ९ “শিবসঙ্কীর্তন” নামক আরও দুই খানি কাব্য রচনা করিয়া ছিলেন। কাব্যরচনা অপেক্ষ সঙ্গীত রচনাই তাহার জীবনের প্রধান উদ্দেশ্য ছিল । তাহার হৃদয়-জলধি শক্তি-প্রেম-তরঙ্গে অহৰ্নিশ উদ্বেল হইয়া উঠিত ; এবং তাহার সঙ্গীতাবলী এরূপ হৃদরের উচ্ছাস ও অভিব্যক্তি মাত্র। তৎকালে সঙ্গীতাদি রচনা করিয়া গ্রন্থে পরিণত করা এ দেশের রীতি ছিল না ; এবং গ্রন্থ রচনা করিয়া অর্থে পার্জন করাও র্তাহার উদ্দেশু ছিল না । এজন্য তৎপ্রণীত সঙ্গীতের সহস্রভাগের এক ভাগও প্রোপ্ত হওয়া অসম্ভব । • রামপ্রসাদ স্বীয় অলৌকিক ক্ষমতাগুণে গুণগ্ৰাহী মহারাজ কৃষ্ণচন্ত্রের অত্যন্ত প্রিয় , পাত্র হইয়া উঠিয়াছিলেন । মহারাজ তৎসহবাস অত্যন্ত সুখদ মনে করিতেন । তৎকালে এদেশে রেলওয়ে ছিল না ; এজন্য বিভবশালী লোক আমোদ আহলাদের জন্য সময়ে সময়ে জল বিহারে বহির্গত হইতেন । এক দিন মহারাজ কৃষ্ণচন্দ্র রামপ্রসাদকে সঙ্গে লইয়া গঙ্গাপথে মুরশিদাবাদ যাইতে ছিলেন । রামপ্রসাদ বজায় বসিয়া স্বীয় কালীকীৰ্ত্তন সঙ্গীতে মহারাজের কর্ণকুহরে অমৃত স্রোত প্রবাহিত করিতে ছিলেন। ঘটনাক্রমে নবাব সিরাজ উদেীলাও তৎকালে গঙ্গাপথে জলবিহারে বহির্গত হইয়া ছিলেন । নবাবের ভঙ্কাধবনি শ্রবণ ও নৌকোপরি পতাকারাজি, দর্শন করিয়া মহারাজ ও রামপ্রসাদ স্তম্ভিত হইয়া উঠিলেন ; এবং নবাবের যথোচিত সন্মান করিবার জন্ত র্তাহার সমীপে অগ্রবৰ্ত্তী হইতে লাগিলেন । সিরাজও উৎসুক হইয়া মহারাজের

  • >