পাতা:মলিন মালা - গিরিশচন্দ্র ঘোষ.pdf/১৯৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ডাক্তার দুর্গাচরণ বঙ্গ্যোপাধ্যায় । లి' ভাস্থায় প্রতি সমধিক সপ্তষ্ট হইলেন। দুর্গাচরণের পিতা এই গংবাঙ্গ পাইয়। তথায় উপস্থিত হইয়াছিলেন ; এবং সাহেব তাহাকে ভাকিয়া কছিলেন “আমি এই বালকের নির্ভীকতা ও তেজস্থিতা দেখিয়া অত্যক্ত সস্তুষ্ট হইয়াছি। এই বালক উত্তরকালে জাপনাকে অত্যন্ত সুখী করিবে ।” لی দুর্গাচরণের দশ বৎসর বয়ঃক্রম কালে তাহার পিত। র্তাছাকে কলিকাতায় আনিষ হিন্দু কলেজে প্রবিষ্ট করাইয়। দেন । কয়েক বৎসরের মধ্যেই তিনি “সিনিয়ার ডিপার্টমেন্টে” অর্থাৎ বিদ্যালয়ের উচ্চতম বিভাগে উন্নীত হয়েম; এবং পঞ্চদশ বৎসর বয়সে প্রখর-ধী-শক্তি ও প্রাকৃতিক,প্রতিভা বলে তিনি প্রভূত সুখ্যাতিলাভ করিয়াছিলেন। ইতিহাস ও গণিত শাস্ত্রে তাহার বড় অনুরাগ ছিল ; এবং এই দুইটী বিষয়ে তিনি তদীয় সহাধ্যায়ীদিগকে পরাজিত করিয়া কলেজ হইতে একটা মাসিক বৃত্তি প্রাপ্ত হন । কিন্তু এই সময় হইতেই হিন্দুজাতির অমুষ্ঠেয় আচার ব্যবহারের প্রতি তাহার ঔদাসীষ্ঠ ও বিদ্বেষ দেখা যাইতে লাগিল । একদা হর্গাচরণ প্রাতঃকালে আহার করিয়া হস্তপ্রক্ষালন মানসে জলপূর্ণ জালার মধ্যে হস্ত প্রবেশ করিয়া দেন । তাহার মাতা তাহাকে এরূপ অসদাচরণ করিতে দেখিয়া অত্যন্ত বিরক্ত হইয়া ভয় দেখান যে তিনি এ বিষয় তাহার পিতাকে বলিয়া দিবেন। তুর্গাচরণ পিতাকে বড় জুত্ব করিতেন । মাতার কথা শুনিয়া ও দ্বিরুক্তি প্রকাশ না করিয়া নিঃসম্বলে পদব্রজে তিনি বাকুড়ায় পলাইয়া গেলেন। বাকুড়ায় ঙাহার কেহই পরিচিত ছিল না। সঙ্গে কিছু মাত্র অর্থনা থাকাতে দুই চারি দিন তাহাকে বড় কষ্ট পাইতে হইয়া