পাতা:মলিন মালা - গিরিশচন্দ্র ঘোষ.pdf/২০৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ክo 酶翡菲 আপনার নাম দেদীপ্যমান করিয়া গেলে । তোমার মত গুণরান পুত্র ভারতভুমির অদৃষ্টে বোধ হয় আর জঞ্জিবে না। ভারতভূমি ! তুমি বড় ভাগ্যবর্তী, কারণ এরূপ সম্ভান ভূমি গর্ভে ধারণ করিয়াছিলে; কিন্তু আবার দেখি, তুমি বড় হরদৃষ্টঃ কারণ এরূপ সন্তান বিসর্জন দিয়া তুমি এখনও জীবিত জাছ ৮. முறக পণ্ডিত ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর। মেদিনীপুর জেলার অন্তঃপাতী বীরসিংহ নামক গ্রামে ১৭৪২ শকে ( ১৮২৭ খৃষ্টাৰে ] ১২ই আশ্বিন মঙ্গলবায় দিবসে ঈশ্বরচন্দ্র জন্ম গ্রহণ করেন ; ইহার পিতার নাম ঠাকুরদাস বন্দ্যোপাধ্যায়। বন্দ্যোপাধ্যায় মহাশয় তাদৃশ সঙ্গতিপন্ন ছিলেন না । উত্তমরূপে বিদ্য শিক্ষা করিয়া জীবন সার্থক করিব এরূপ ইচ্ছঃ শৈশৱাবস্থা হইতেই ঈশ্বরচন্দ্রের মনে স্বতঃই আসিয়া উপস্থিত হইয়াছিল। বড় লোকের বাল্যকালের প্রকৃতিই এইরূপ । অর্থহীন পিতা জ্ঞানপিপাস্থ পুত্রের বিদ্যাশিক্ষোপযোগী ব্যয় ভার সম্পাদনে অক্ষম হইলে পুত্রকে যেরূপ কষ্ট ও দুঃখ ভোগ করিতে হয়, ঈশ্বরচন্দ্রকেও তাহা যথেষ্ট করিতে হইয়াছিল । কিন্তু অমিত অধ্যবসায়, আন্তরিক আগ্রহ ও অবিচলিত ধৈৰ্য্য প্রভাবে তিনি সমস্ত বাধা-বিপত্তি অতিক্রম করিয়াছিলেন । বন্দ্যোপাধ্যায় মহাশয় বীরসিংহ হইতে ঈশ্বরচন্দ্রকে কলিকাতায় আনিয়া ১৮২৯ খৃষ্টাব্দের ১লা জুন তারিখে বিদ্যাশিক্ষার্থ লঙ্কেত কলেজে প্রথম প্রবেশ করাইয়া দেন ; , বাল্যকাল