পাতা:মলিন মালা - গিরিশচন্দ্র ঘোষ.pdf/২০৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পণ্ডিত ঈশ্বরচঞ্জ বিপ্লসাগর । হইতেই ঈশ্বরচঞ্জের বুদ্ধিমত্ব ও অন্ধলন্ধিৎসা-বৃত্তি বড় বন্ধতী हिंण ।* তিনি যখন যে শিক্ষকের নিকট যাহা শিক্ষা করিতেন, কদাপি তাহার মৰ্ম্মভেদ ও তাহা হৃদয়ঙ্গম না করিয়া ছাড়িয়া দিতেন না । শিক্ষকগণও র্তাহার ভূয়সী জ্ঞানপিপাসা দেখিয়ী উহাকে অধিক শিক্ষা দান করিতে সমধিক যত্নবান হইতেন । ংস্কৃত কলেজে প্রবেশ করিয়াই তিনি প্রথমতঃ গঙ্গাধর তর্কবাগীশের নিকট ব্যাকরণ শিক্ষা করেন। পরে ব্যাকরণ শাস্ত্রে সবিশেষ অধিকার জন্মিলে জয়গোপাল তর্কালঙ্কারের নিকট সাহিত্য, প্রেমানন্দ তর্কবাগীশের নিকট অলঙ্কার, শম্ভুচন্দ্র বিদ্যাবাচস্পতির নিকট বেদান্ত, রামচন্দ্র বিদ্যাবাগীশের নিকট স্মৃত্তি, এবং নিমাইচন্দ্র শিরোমণি ও জয়নারায়ণ তর্কপঞ্চাননের নিকট ন্যায় ও সাংখ্য শাস্ত্র অধ্যয়ন করিয়াছিলেন। শিষ্য বুদ্ধিমান হইলে গুরুও তাহাকে শিক্ষা দান করিতে নিরতিশয় প্রয়াসবান হন । ঈশ্বরচন্দ্র যখন যে শাস্ত্র অবলম্বন করিতেন, তখন তাইরি নিগুঢ় রহস্যভেদ করিয়া তাহা পরিত্যাগ করিতেন। ক্রমে ক্রমে উপরি-উক্ত সমস্ত শাস্ত্রে পারদর্শিতা লাভ করিলে, উল্লিখিত অধ্যাপকগণ অত্যন্ত আল্লাদিত হইয়া ঈশ্বরচন্দ্রকে “বিদ্যা সাগর” এই সম্মানসূচক উপাধি প্রদান করিলেন । * . . . . ক্রমে ক্রমে বিদ্যাসাগরের যশঃগৌরব চতুর্দিকে পরিব্যাপ্ত হইতে লাগিল । ১৮৪১ খৃষ্টাব্দের ডিসেম্বর মাসে তিনি ফোর্ট উইলিয়ম কলেজে প্রধান পণ্ডিত নিযুক্ত হন । ইহার প্রগাঢ় পণ্ডিত্য ও সুচারু অধ্যাপনা কাৰ্য্য দর্শনে প্রীত হইয়। সংস্কৃত কলেজের কর্তৃপক্ষীয়গণ ১৮৪৬ খৃষ্টাব্দের এপ্রেল মাসে ইহাকে উক্ত কলেজের সহকারী কাৰ্য্যাধ্যক্ষের পদ প্রদান