পাতা:মলিন মালা - গিরিশচন্দ্র ঘোষ.pdf/২১৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Sέν r প্রৱন্ধ পাঠ । বিদ্যাসাগরের প্রতি খঙ্গহস্ত হইয়াছিলেন। বিদ্যাসাগর দেশীয় লোকের গ্লানি, কুৎসা ও নির্মাবাদ অকাতরে সঙ্ক করিয়া ও প্রতিবাদিগণের মত খণ্ডন করিয়া স্বীয় গন্তব্য পথে অগ্রসর হইলেন। তৎকালে স্মার্ভকুল-ভূষণ ভরতচন্দ্র শিরোমণি, গিরিশ চন্দ্র বিদ্যারত্ন, রামগতি স্থায়রত্ন প্রভৃতি পণ্ডিতগণ বিদাসাগরের সাহায্য করেন। বিদ্যাসাগরের যত্নে ও চেষ্টায় গভর্ণমেণ্ট বিধবা-বিবাহ প্রচলনার্থ ১৮৫৬ খৃষ্টাৰে ৫ আইন লিপি বদ্ধ করিলেন । বিদ্যাসাগরের যত্নে কএকটী বিধবা-বিবাহ সমাধা হইল। এই সময়ে বিদ্যাসাগর সমাজের একটা বিশেষ ঠিতকর কার্ধ্যে মনোযোগ করেন । এদেশে বহুবিবাহরূপ কুপ্রথা বহুদিন হইতে চলিয়া আসিতেছে; এই তামসিক কাৰ্য্যে হিন্দুসমাজের কত অনিষ্ট হইয়াছে, তাহার প্রমাণ নিষ্প য়োজন । এই কুপ্রথা উঠাইয়া দিবার জন্য বিদ্যাসাগর প্রাণপণে যথাসাধ্য চেষ্টা করেন । এই উপলক্ষে “বহুবিবাহ রহিত হওয়া উচিত কি ন। এতদ্বিষয়ক বিচার” নামে তিনি ভূঁইখানি গ্রন্থ প্রকাশ করেন । দেশীয় প্রায় সমস্ত কৃতবিদ্য পণ্ডিত ওঁ সঞ্জাৰ্ত্ত ব্যক্তিগণকে বহু বিবাহ রচিত করিবার জন্ত উত্তেজিত করিয়া তুলেন। এই কার্য্যে কৃষ্ণনগরের রাজা শ্ৰীশচন্দ্র, বিদ্যাসাগরকে যথেষ্ট সাহায্য করিয়া ছিলেন । কিন্তু তৎকালে সিপাহীবিদ্রোহ উপস্থিত হওয়াতে গভর্ণমেণ্ট বহু-বিবাহ রষ্ঠিত করিবার জাইন লিপিবদ্ধ করিতে পারেন নাই। ১৮৭৮ খৃষ্টাৰে, নানা কারণে বিরক্ত ইয়া বিদ্যাসাগর মহাশয় কলেজের অধ্যক্ষতা ও স্কুল ইনস্পেক্টরের পদ পরিত্যাগ , করেন I