পাতা:মলিন মালা - গিরিশচন্দ্র ঘোষ.pdf/৬৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বিজ্ঞাপন । বিদ্যালয়ের বালক ও বালিকাগণের পাঠোপযোগী করিয়া “প্রবন্ধ-পাঠ” লিখিত হইল । ইহাতে নৈতিক, ঐতিহাসিক ও জীবন-বৃত্ত-বিষয়ক ১৯টা প্রবন্ধ সন্নিবেশিত হইয়াছে। গ্রন্থের শেষভাগে ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর মহাশয়ের সংক্ষিপ্ত জীবনচরিত দেওয়া গিয়াছে । যিনি বর্তমান শতাব্দীর প্রারম্ভকালীন অপরিস্ফুট ও ক্ষীণকলেবর বাঙ্গালী ভাষার পরিস্ফোটক ও পরিপোষক, যিনি তৎকালোচিত বাঙ্গালা ভাষার দুর্গম ও জটিল পথ উন্মুক্ত করিয়া তাহ এক্ষণে সুগম ও সহজ করিয়া তুলিয়াছেন, যিনি জ্ঞানান্ধ বাঙ্গালী বালক-বালিকাগণের জ্ঞান-চক্ষু উন্মীলন করিয়া জীবনের সার্থকতা সম্পাদন করিয়াছেন, যিনি বর্তমান বাঙ্গাল ও ইংরাজী ভাষা শিক্ষার বহু প্রচারের অন্যতম কারণ, যিনি নিরাশ্রয় বঙ্গ-বিধবার অশ্রমোচন করিতে একদিন -warল করিয়াছিলেন, সেই স্বদেশ-হিতৈষী মহাত্মার জীবনচরিত পাঠ না করিলে বাঙ্গালী সস্তানের প্রত্যবায় আছে ভাবিয়া এই গ্রন্থে তাহার জীবনচরিত সন্নিবেশিত হইল । “প্রবন্ধ-পাঠ"-রচনার ভাষা প্রাঞ্জল করিতে যথাসাধ্য প্রয়াস পাইয়াছি । গ্রন্থখানি বিদ্যালয়ের পাঠ্য পুস্তক রূপে পরিগণিভ হইলে, এবং বালক বালিকাগণ ইহা পাঠ করিয়া নানা বিষয়ে জ্ঞান লাভ ও স্বীয় চরিত্র সংগঠন করিতে পারিলে গ্রন্থ প্রণয়নের উদ্দেশু সার্থক ও পরিশ্রম সফল হইবে । ভদ্রকালী ২৯শে অগ্রহায়ণ, ১২৯৭ ঐপূর্ণচন্দ্র দে।