পাতা:মলিন মালা - গিরিশচন্দ্র ঘোষ.pdf/৮২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

●● প্রবন্ধ-পাঠ | পৰ্যালোচনা করিলে হৃদয় আনন-রসে আপ্লুত ও উচ্ছসিত হয়, সৰ্ব্বদা তাহাতে অবহিত থাকিবে। একবারে ঔষধ পরিত্যাগ করা ভাল নয় ; কারণ আবশ্বক হইলে তাহা আর ফলপ্রদ হইবে না। প্রত্যুত, নিরস্তুর ঔষধ-সেবন অভ্যাস করাও যুক্তিসিদ্ধ নহে ; কারণ পীড়াকালে তাহাতে আর কিছুমাত্র ফল দর্শিবে না । অভ্যাসের বশবৰ্ত্তী হইয়া নিরস্তুর ঔষধ সেবন করা অপেক্ষা ঋতুবিশেষে খাদ্য সামগ্রীর পরিবর্তন করা বিধেয় । এরূপ করিলে শরীরও মূৰ্ত্তি প্রাপ্ত হয়, অথচ ঔষধ-সেবন-জনিত কিছুমাত্র কষ্ট সহ্য করিতে হয় না । শরীরে অকস্মাৎ কোন অবস্থান্তর দেখিলে অমনি কোন বিচক্ষণ ব্যক্তির নিকট তাহার কারণ জিজ্ঞাস্থ হইয়া, তৎক্ষণাৎ তাহার প্রতিবিধান করিবে । পীড়াকালে কেবলমাত্র আরোগ্যের দিকে দৃষ্টি রাখা কর্তব্য। তৎকালে আপাত-মধুর পরিণামকটু সামগ্ৰী সুখসেব্য হইলেও কদাপি তাহ পথ্য ও তকর মনে করি ও না । সুস্তাবস্থায় শ্রম-বিমুখ হওয়া উচিত নহে । শরীর কষ্টসহ হইলে কোন রোগই সহসা আক্রমণ করিতে পারিবে না । পৰ্য্যাপ্ত ভোজন করিবে, কিন্তু উপবাসেও কাতর হইও না । সচ্ছন্দে নিদ্রা যাইবে, কিন্তু রাত্রি জাগরণেরও অভ্যাস রাখিবে । সৰ্ব্বদ শ্রমশীল হইবে, কিন্তু বিশ্রাম করিতেও অবহেলা করিও না । এইরূপ উভয়বিধ আচরণই আয়ুষ্য ও স্বাস্থ্যকর । কোন কোন চিকিৎসক প্রকৃত রোগজয়ের দিকে কিছুমাত্র দৃষ্টি না রাখিয়া কেবল রোগীর ইচ্ছানুসারেই ঔষধ ও পথ্যাদির ব্যবস্থা করিয়া থাকেন; কেহ কেহ বা রোগীর কথায় কৰ্ণপাত না করিয়া কেবল নিজ শাস্ত্রোক্ত পদ্ধতির অনুবর্তী