পাতা:মলিন মালা - গিরিশচন্দ্র ঘোষ.pdf/৮৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Sʻlyo প্রবন্ধ-পাঠ । শৈশব কাল,হৃদয়-ক্ষেত্রে জ্ঞান-বীজ-বপনের প্রকৃত ঋতুস্বরূপ : সেই সময়ে ইহাতে যেরূপ বীজবপন করিবে,আজীবন তাহারই ফলভোগ করিবে । অতএব শৈশবে হৃদয়ক্ষেত্র আকৃষ্ট ও পতিত রাখা বা ইহাতে কোন মন্দবীজ পড়িতে দেওয়া উভয়ই সমান সাংঘাতিক। কুরীতি, কুনীতি, কুসংস্কার প্রভৃতি কণ্টকী বৃক্ষ গুলি একবার বদ্ধমূল হইলে তাহার সহজে উৎপাটিত হইবার নহে। যদি যত্ন করিয়৷ শৈশবে জ্ঞানবীজ বপন করিতে পাের, তবেই তাহা যৌবনে বৃক্ষরূপে পরিপুষ্ট হইয়া বাৰ্দ্ধক্যে তোমায় সুফল প্রদান করিবে। সরস ও কোমল বস্তুতে দ্রব্যাস্তরের চিকু যেরূপ দৃঢ়তররূপে সংলগ্ন হয়, নীরস ও কঠিন পদার্থে কখনই সেরূপ নহে । শৈশবে আমাদিগের অন্ত:করণ মধুপবৎ কোমল থাকে। তৎকালে দয়া, ধৰ্ম্ম ও কৃতজ্ঞতাদি গুণগ্রামের অনুশীলন করিলে অস্তঃকরণে যেমন ঐ সকল গুণের দৃঢ় সংস্কার জন্মে, যৌবন বা বাৰ্দ্ধক্যে সেরূপ হইবার সম্ভাবনা অতি অল্প । বাল্যকাল বিদ্যাশিক্ষার ও জ্ঞানোপার্জনের উপযুক্ত সময় । এসময় বালকগণ যাহাতে সুশিক্ষা প্রাপ্ত হয়, তাহ কর পিত। মাতা ও শিক্ষকগণের সবিশেষ কর্তব্য । বালকগণ স্বভাবতঃ তরল-মতি । যাকাতে তাহারা কোনরূপ অদ্যায় কার্য্যে লিপ্ত না হয়, সে বিষয়েও লক্ষ্য রাখা বিধেয় । বিদ্যাশিক্ষার সঙ্গে সঙ্গে নীতি শিক্ষা দেওয়া আরও প্রয়োজনীয় । যাহাতে নীতিবাক্য গুলি তাহার কার্স্যে পরিণত করিতে পারে, তদ্বিষয়ে সচেষ্ট হওয়া সমধিক আবণ্ঠক । অনেকে শিশু দিগের সমক্ষে কৌতুকচ্ছলে মিথ্যা কথা ও পরিহাসচ্ছলে অশ্লীল বাক্য প্রয়োগ করিয়া থাকেন । কিন্তু এরূপ করা অতি অষ্ঠায় ; কারণ ক্রমে ক্রমে ইহা তাহাদিগের