পাতা:মলিন মালা - গিরিশচন্দ্র ঘোষ.pdf/৮৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

যৌবন । ミ? বদ্ধমূল হইয়া যায়। অহমিক-বৃত্তি যৌবনকালের নিত্য সহচরী। তরুণের সকল বিষয়েই আপনাদিগকে অভ্রান্ত ও স্থবিবেচক মনে করিয়া বৃদ্ধদিগের সারগর্ভ কথা অসার মনে করে । এজন্য অনেক সময়ে তাহাদিগকে অনুতপ্ত হইতে হয়। যৌবন সীমায় পদার্পণ করিলে কাম ক্রোধাদি নিরুষ্ট প্রবৃত্তি সকল উদ্দীপ্ত হইতে থাকে। যে কামনা ধৰ্ম্ম-বিগর্হিত ও লোকাচারবিরুদ্ধ, কদাপি তাহাকে মনে স্থান দিবে না। ক্রোধ মনুষ্যের মহাশত্রু; কিন্তু স্থলও সময় বিশেষে প্রযুক্ত হইলে ইহা প্রকৃত বন্ধুর কাৰ্য্য করিয়! থাকে । ক্রোধ উপস্থিত হইলে তৎক্ষণাৎ তাহার দূরীকরণ করা আবশ্বক। যাহার কোন কারণ বশত: ক্রোধ প্রকাশ করে, তাহার। সেই কারণের অপগমেই প্রশান্ত হয় ; কিন্তু যাহারা অকারণে কুপিত হয়, তাহাদিগকে কিছুতেই পরিতুষ্ট ও প্ৰসন্ন করিতে পারা যায় না । সকল বিসয়েই অমায়িক, সত্যনিষ্ঠ ও স্থিরপ্রতিজ্ঞ হওয়া যুবকগণের প্রধান কৰ্ত্তব্য কৰ্ম্ম। বয়োবৃদ্ধ, জ্ঞানবৃদ্ধ ও উচ্চপদারূঢ় ব্যক্তির নিকট প্ৰগল্‌ভ ব্যবহার পরিত্যাগ কবিয়া লিনয়নম্র হইল থাকা ও তাহাদিগের সমধিক আবশুক । যৌবনে অক্লিষ্ট পরিশ্রম ও অনন্ত অধ্যবসায় অভ্যস্ত হইয়া আসিলে সুমহান কাৰ্য্যও অনায়াসে সম্পাদিত হইতে পারে । অতএব প্রত্যেক কার্য্যের অগ্রপশ্চাৎ ভাবিয়া ও চরিত্রের দিকে লক্ষ্য রাখিয়। চলিলে যুবকগণের খলিতপদ হইবার সম্ভাবনা অতি অল্প ।