পাতা:মলিন মালা - গিরিশচন্দ্র ঘোষ.pdf/৮৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

२२ ।। প্রবন্ধ-পাঠ । বাৰ্দ্ধক্য মানবজীবনের অপরাহু-স্বরূপ । সমস্তদিন কিরণ জাল বিস্তার করিয়া স্বৰ্য্যদেব যেরূপ ক্ষীণকাক্তি ও নিস্তেজ হইয় পড়েন, শৈশব ও যৌবন অতিক্রম করিয়া বাৰ্দ্ধক্যে আসিয়া আমরাও সেইরূপ অবসন্ন ও হ নবীর্ষ্য হইয় পড়ি । এসময় যৌবন-সুলভ চিত্ত-চাপল্য ও অহমিকা-বৃত্তি অম্ভহিত হয় ; স্থষুপ্তি-জনিত রজনীর বিশ্রামসুখ হীয়মান হইতে থাকে ; এবং অক্লিষ্ট পরিশ্রম, দুৰ্জ্জয় অধ্যবসায়, প্রগাঢ় মনোনিবেশ ও বলবতী বিচারশক্তি বিচ্যত হইয় পড়ে। ষড়রিপুর প্রাবল্য ও পঞ্চেন্দ্রিয়ের প্রাখৰ্য্য ক্রমে ক্রমে মনদীভূত হইয়া আইসে । স্মৃতি-শক্তির ক্ষীণতা,চিন্তাশক্তির নূ্যনতা,উৎসাহ-শক্তির অল্প তা ও ভোগবাসনার হ্রস্তত উত্তরোহর পরিলক্ষিত হইতে থাকে ৷ দেহ ক্ষীণ,কাক্তি অপগত, চৰ্ম্ম বলিত, চক্ষু নিমগ্ন, মুখমণ্ডল নিষ্প ভ, তুণ্ড দশনহীন, কেশপাশ কাশকুস্থমবৎ, চরণযুগল চলৎ-শক্তি-বিরহিত,এবং যাবতীয় অঙ্গপ্রত্যঙ্গ তুৰ্ব্বহ-ভার-গ্রস্ত বলিয়া অনুভূত হয় । সংসারের মোহিনী মায়ায় সকলেই সমাচ্ছন্ন | মায়াপাশ কাটিয়া নির্মুক্ত হওয়া কাহারও সাধা নহে। জরাজীর্ণ ব্যক্তির অক্তিম কাল উপস্থিত ; তথাপি সংসায়ের জন্ত সে সদাই ব্যস্ত । যৌবন-মদে মত্ত ও মোহান্ধ হইয়া কত শত মহাপাপ করিয়াছি, কত শত লোকের সর্বনাশ করিয়াছি ও কত শত লোকের বিনাদোষে মনস্তাপ দিয়াছি, ইত্যাদি ফুৰ্ব্বিষহ পূৰ্ব্ব-স্মৃতি আসিয়া অমুক্ষণ তাহার সমধিক যন্ত্রণ বৃদ্ধি করে । স্থষ্টির কি অদ্ভুত কৌশল ও সংসারের কি বিচিত্র লীলা ! মৃত্যুকাল দিন দিন