পাতা:মলিন মালা - গিরিশচন্দ্র ঘোষ.pdf/৯৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কৃপণতা । २१ করিতে থাকে। গর্দভ যেরূপ তাঙ্গার নিপীড়িত পৃষ্ঠে পিঞ্জীভূত স্থবৰ্ণরাশির ভার বহন করিয়া নিশ্চিন্ত হয়, নিৰ্ব্বোধ কৃপণও ধনভার মাত্র বহন করিয়। সেই পি কথঞ্চি ২ দিন পাত করিতে থাকে, এবং অবশেষে মৃত্যু আসিয়া তাহাকে সেই দুৰ্ব্বহ ভার হইতে বিমুক্ত করিয়া দেয়। কৃপণ অতুল ঐশ্বর্ঘ্যের ভবিপতি হইলেও অর্থনাশ ভয়ে সঞ্চিত অর্থের সদ্ব্যয় করিতে কুষ্ঠিত । সন্তান বা স্বজনবর্গকে সুশিক্ষা দান, পীড়াকালে সুচিকিৎসক কর্তৃক চিকিৎসাকরণ প্রভৃতি আবশ্ব কর্তব্য কৰ্ম্মে তাহার অনিচ্ছা ও শৈথিল্য দেপা যায় । কদন্ন আহার করিতে, এমন কি নিরশ্ন থাকিতে পাবিলেও এরূপ লোক বোধ হয় কিছুমাত্র কাতর ও সঙ্কুচিত নহে। মহাসমুদ্র ও মহাকৃপণ উভয়ই সমান । সমুদ্র অপার ও অগাধ হইলেও তাহার জল বিস্বাদ ও অপেয় ; ক্লপণের ধন অসীম ও অপরিমেয় হইলেও তাহা নিরর্থক ও অব্যবহার্য্য । অসংখ্য নদ নদী গ্রাস করিয়া ফেলিলেও সমুদ্রের যেরূপ কণনই উদরপূৰ্ত্তি হয় না, অনন্ত ব্ৰহ্মাণ্ডের একাধিপতি হইলে ও কৃপণের সেই রূপ কখনই তৃপ্তিলাভ হয় না। কিঞ্চি মাত্র বায়ু উধিত হইলে সমুদ্রের জল ষেরূপ অস্থির ও উদ্বেল হইয়া উঠে, ধনলিপ্যার উদ্দীপন হইলে কৃপণের মনও সেই রূপ অশান্ত ও উদ্বিগ্ন হইয়া উঠে । ধন লোভীর লোভানল কিছুতেই নির্বাপিত হইবার নহে ; ঘৃতাহুত্তি পাইলে বরং তাহ অধিকতর উদ্দীপিত হইয়া থাকে কৃপণের নামোচ্চারণেও প্রত্যবায় আছে । যাহারা ক্ষমতা সত্ত্বেও ক্ষুধাৰ্ত্তকে মুষ্টিমাত্র অন্নদান এবং পিপাসার্ভকেও বিন্দুমাত্র জল দান না করিয়া নিশীথ রাত্রিতে কুলীদ-গণনায় অভিনিবিষ্ট হয় ; যাহার।