পাতা:মস্তকের মূল্য - সরোজনাথ ঘোষ.pdf/১০৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সোনার ল্যাজ । কিয়ৎপরিমাণে সংযত করিয়া দারোগা বিনীতভাবে বলিবেন, “হুজুরের দয়াতেই বাচিয়া আছি। যে কাজ করিতে বলিবেন, অধীন তখনই তাহা সম্পন্ন করিবে ।” ঈষৎ হাসিয়া হুজুর বলিলেন, “তুমি বিশ্বাসী, এবং রাজভক্ত কৰ্ম্মচারী বলিয়াই তোমাকে ডাকিয়াছি । এবং আমার বিশ্বাস, এ কাৰ্য্য তোমার দ্বারাই সিদ্ধ হইবে ।” গদগদ ভাষে নটবর বলিলেন, “হুজুরের কোন আদেশ পালন করিতে হইবে, জানিতে পারি কি ?” অৰ্দ্ধহস্তপবিমিত তামবৰ্ণ 'গুম্বেফ “চাড়া” দিয়া গম্ভীরভাবে সাহেব বলিলেন, “কাজটা "গুরুতর।!! শুনিতেছি, বরমগঞ্জে স্বদেশীর বড় প্রাদুর্ভাব। বিদ্যালয়ের ছাত্ৰগীণ ও কয়েক জন নিষ্কৰ্ম্ম যুবকের অত্যাচারে গ্রামের ব্যবসায়ীরা ব্যতিব্যস্ত হইয়া উঠিয়াছে। ইহা বৃটিশ শাসনের কলঙ্ক । সেখানে যে সবইনস্পেক্টর আছে, সে কোনও কাজের লোক নহে । তাই তোমাৰুক তথায় পাঠাইতেছি । এই সব অত্যাচার দমন করা চাই । কয়েক জন দুৰ্ব্বত্ত নেতাকে গ্রেপ্তার করিয়া গুরুতর দণ্ড দিতে পারিলেই গ্রামে শান্তি ফিরিয়া আসিবে । বুঝিয়েছি, দত্ত ?” দারোগ নটাবর সোৎসাহে বলিলেন “এ আর এমন কি কঠিন কাজ, হুজুর ? আমি এক মাসের মধ্যেই সব ঠাণ্ড করিয়া দিব ।” শ্বেত দপ্তপংক্তি বিকশিত করিয়া পুলিশ সাহেব বলিলেন, “বয়কটটা যাহাতে উঠিয়া যায়, প্রাণপণে সে চেষ্টা করিতে 4. a