পাতা:মস্তকের মূল্য - সরোজনাথ ঘোষ.pdf/১২৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কুলরক্ষা। সহসা একুসোড়া খড়মের খটু খট্‌ শব্দ হইল। ষষ্ঠীচরণ মুখ ফিরাইয়া দেখিলেন, স্বয়ং বিদ্যালঙ্কার মহাশয়। সসন্ত্রমে উঠিয়া দাড়াইয়া সষ্ঠীচরণ বৃদ্ধিকে নমস্কার করিলেন। বিদ্যালঙ্কার স্মিত মুখে আশীৰ্ব্বাদ করিয়া বলিলেন, “ব’স বাপু, তোমার সঙ্গে নির্জনে একটি কথা আছে।” একটিপ নস্য লইয়া বৃদ্ধ মৃদুস্বরে বলিলেন, “সেই বিবাহের প্রস্তাবটা সম্বন্ধে কি স্থির করিলে ?” ষষ্ঠীচরণের প্রসন্নমুখ সহসা অন্ধকার হইয়া গেল। তিনি সঙ্কোচনম্রস্বরে বলিলেন, “আমার অবস্থা আপনার অবিদিত নাই । ভাবিয়া দেখিলাম, এরূপ স্থলে দ্বার-পরিগ্রহ মূৰ্খতা মাত্র।” ত্ৰস্তভাবে বিদ্যালঙ্কার বলিলেন, “তুমি যত দিন না তোমার অবস্থার উন্নতি করিতে পার, সে ভাবনা তোমার করিয়া কাজ নাই। মেয়ে আমার কাছেই থাকিবে । তাহার কোনও ভার তোমাকে লাইতে হইবে না।” ষষ্ঠীচরণ মান মুখে বলিলেন, “কিন্তু শ্রোত্রিয়ে কন্যাদান করিলে আপনার কুলনাশ হইবে।” বৃদ্ধ তাছীল্যভাবে হাসিয়া বললেন, “কুলনাশ ! আমার আবার কুলনাশ কি ? সমাজ ত আমরাই। আমরা যাহা করিব, সমাজ অবনত মুখে তাহাঁই মানিয়া চলিবে । তাহাতে প্ৰতিবাদ করিবে কে ?” মৃদুস্বরে ষষ্ঠীচরণ বলিলেন, “কিন্তু অকারণ কেন একটা গণ্ডগোল বাধাইবেন ? আপনার কন্যার বিবাহের ভাবনা è Nabi"