পাতা:মস্তকের মূল্য - সরোজনাথ ঘোষ.pdf/১২৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কুলরক্ষা । কি ? অনেক বড় কুলীন-সন্তান আপনার মেয়েকে বিবাহ করিতে পাইলে কৃতাৰ্থ হইয়া যাইবে । আমাকে দয়া করিয়া ক্ষমা করুন।” বিদ্যালঙ্কার বিস্মিত হইয়া তীক্ষ দৃষ্টিতে কয়েক মুহূৰ্ত্ত ষষ্ঠীচরণের শান্ত মুখমণ্ডলের দিকে চাহিয়া রহিলেন । কথা কয়টি কি প্রচ্ছন্ন বিদ্রুপ ? তাহার নিৰ্বোধ, কুৎসিত কন্যা যে ষষ্ঠীচরণেরও অযোগ্য, ষষ্ঠীচরণ প্ৰকারান্তরে কি তাঁহারই আভাস দিল ? ক্ষুব্ধ, ক্রুদ্ধ বিদ্যালঙ্কার বলিলেন, “তবে কি তোমার এ বিবাহে মত নাই ?” বাহিরে তখন অন্ধকার বরিয়া আসিয়াছে। পুনরায় বৃষ্টির সম্ভাবনা দেখা যাইতেছিল। আকাশের দিকে চাহিয়া উদাসভাবে ষষ্ঠীচরণ বলিলেন, “এ বিবাহ বলিয়া নয়, বিবাহ কখনও করিব না, আমার এইরূপ সঙ্কল্প।” এতখানি উপেক্ষা বিদ্যালঙ্কায়ের সহ্য হইল না । তিনি ভাবিয়াছিলেন, তঁহার মত এত বড় কুলীন যাচিয়া শ্রোত্ৰিয়ে মেয়ে দিতে চাহিতেছেন, ইহাতে ষষ্ঠীচরণ একেবারে গলিয়া কৃতাৰ্থ হইয়া যাইবে । কিন্তু একি ! এই সহায়সম্পদহীন হতভাগা যুবকটা এমন নিশ্চিন্তভাবে তেঁহাকে প্ৰত্যাখ্যান করিল ! এই তীব্র অপমানে তাহার হৃদয় যন্ত্রণায় বিচলিত হইয়া উঠিল। বিদ্যালঙ্কার বলিলেন, “দেখ ষষ্ঠী, তোমার বাপ থাকিলে আজ তিনি আমার কথা এমন করিয়া ঠেলিয়া 69tr).