পাতা:মস্তকের মূল্য - সরোজনাথ ঘোষ.pdf/১২৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কুলরক্ষণ । আপনিই যথেচ্ছ কটু বলিতেছেন। আপনি বৃদ্ধ, পিতৃতুল্য তাই নীরবে সহস্থ করিলাম।” বিকট বিদ্রুপ হন্তে কক্ষ প্ৰতিধ্বনিত করিয়া বিদ্যালঙ্কার বলিলেন, “বটে ! কেন, তাহা না হইলে মারিতে বুঝি ? বড় স্পৰ্দ্ধা তোর। আচ্ছ। আমি যদি সৰ্বেশ্বর ঠাকুরের সন্তান হই, তবে এর প্রতিফল একদিন নিশ্চয়ই পাইবি।” কুপিত ব্ৰাহ্মণ খড়ম খটু খটু করিতে করিতে চলিয়া গেলেন । বাতাসের সঙ্গে বৃষ্টি আবার নামিয়া আসিল । সেই বারিবিদ্যুৎব্যাকুল সন্ধ্যার অন্ধকারে ষষ্ঠীচরণ নীরবে: বসিয়া রহিলেন । দ্বিতীয় পরিচ্ছেদ । সন্ধ্যার শান্ত ছায়ায় মাঠ ও গ্রাম। আচ্ছন্ন হইয়াছিল। গ্ৰাম্য দেবালয়ে মঙ্গলশঙ্খ বাজিয়া উঠিল। স্নানের ঘাট জনশূন্য । পল্লীবধুরা জল লইয়া কখন ঘরে ফিরিয়া গিয়াছে। খেয়া ঘাটে শূন্য জেলে ডিঙ্গি বাধা । দুরে গঞ্জের নীচে হাঁটুরে নৌকায় আলো জ্বলিতেছে। ক্ষীণ চন্দ্রীলোকে শু্যামল তৃণাসনে বসিয়া ষষ্ঠীচরণ অগাধ ভাবনা-সমুদ্রে নিমগ্ন। স্বজন-শূন্য জীবনটা কি এমনই ভাবে একদিন অজ্ঞাত অন্ধকারে মিশিয়া যাইবে ? স্নেহ, প্ৰেম d R>