পাতা:মস্তকের মূল্য - সরোজনাথ ঘোষ.pdf/১৩১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কুলরক্ষণ । “তুমি এত রাত্রে এক ঘাটে আসিয়াছ ?” পূর্ববৎ মৃদুস্বরে কমল বলিল, “ঠাকুরমার আজ বড় জর এসেছে। এতক্ষণ তঁর কাছে বসে ছিলুম। এখন তিনি একটু ঘুমিয়েছেন দেখে তাড়াতাড়ি জল নিতে এসেছি।” ষষ্ঠীচরণ ব্যস্তভাবে বলিলেন, “ঠাকুরমার আবার জর হলো ? চল, তোমাকে বাড়ী রেখে আসি, আমনি ঠাকুরমাকে দেখে আসবো ।” পথে উভয়ে আর কোন কথা কহিলেন না । কমল আনতমুখে অগ্ৰে চলিল। পশ্চাতে ষষ্ঠীচরণ বুকভরা ভাবনা লাইয় তাহার অনুসরণ করিলেন । ” তৃতীয় পরিচ্ছেদ । রৌদ্রোজ্জল মধ্যাহে গ্রামখানি নিস্তব্ধপ্ৰায় ৷ প্ৰথম গ্রীষ্মের উত্তাপে পাখীরা পত্ৰাচ্ছন্ন নীড়ে লুকাইয়াছে। কেবল নিঃসঙ্গ ঘুঘুর করুণতান মৌনমুগ্ধ মধ্যাহ্নের নীরবতায় একটা সুর বঁাধিয়া দিতেছিল। গ্রামের একপ্ৰান্তে একখানি কুটার। ঘরের দাওয়ার উপর মাদুর বিছাইয়া কমল মহাভারত পড়িতেছিল । ঠাকুরমা মালা করিতে করিতে নিবিষ্টচিত্তে সেই পুণ্যকথা শ্রবণ RN9