পাতা:মস্তকের মূল্য - সরোজনাথ ঘোষ.pdf/১৩৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কুলরক্ষণ । “এ সম্বন্ধ ভেঙ্গে গেল কেন ঠাকুরমা ?” বৃদ্ধ অপেক্ষাকৃত নিম্নস্বরে বলিলেন, “শত্রুরা রটাইয়াছে, মেয়েট লেখা পড়া শিখেছে। আর তুমি আমাদের উপর দয়া ধৰ্ম্ম করে দেখা শোন, সদাসৰ্ব্বদা যাওয়া আসা কর, তাইতে তোমাদের নামে একটা মিথ্যা নিন্দ রািটয়েছে। এই সব শুনে তাদের মন ভেঙ্গে গেছে। সেই অবধি আর কোন সম্বন্ধ আসছে না।” ষষ্ঠীচরণ ক্ষণকাল স্তম্ভিত হইয়া রহিলেন । মিথ্যা অপবাদ ! এ কথা উচ্চারণ করিবার সময় তাহদের পাপ রসনা খসিয়া পড়ে নাই ! মিথ্যা কলঙ্ক রটাইয়া তাহদের কি স্বার্থসিদ্ধি হইল ? তিনি এই নিরাশ্রয় দরিদ্র দুইটিকে অভাবের সময় সাহায্য করেন, তাহাতে কাহার কি ক্ষতি ? কমলকে তিনি সযত্নে লেখাপড়া শিখাইয়াছিলেন, তাহার পরিণাম। এই দুরূপ নেয় কলঙ্ক । রুদ্ধ কণ্ঠে সঙ্গাচরণ বলিলেন, “ঠাকুর মা, আমার জন্য কমলের বিবাহ সম্বন্ধ ভাঙ্গিয়া গেল, তার উপর আবার এত বড় কলঙ্ক ? কি করিলে এ কলঙ্ক মুছিয়া যায়। ঠাকুরমা ? যদি আমি আর আপনাদের সংস্রবে না আসিলে মঙ্গল হয়, তবে আজ হইতে আর এখানে আসিব না ।” বৃদ্ধ সকাতরে বলিলেন, “যাহা হইবার তা’ত হয়ে গেছে । কলঙ্ক যা রটেছে, তা আর মুছিবার নয়। তাই বলে দাদা, তুমিও আমাদের প্রতি বিমুখ হইও না । এ গ্রামে তুমি ? T.1