পাতা:মস্তকের মূল্য - সরোজনাথ ঘোষ.pdf/১৩৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কুলরক্ষা । সেই জনতা ভেদ করিয়া ষষ্ঠীচরণ যখন জমীদার বাবুর কাছে নীত হইলেন, তখন সংক্ষুব্ধ জনমণ্ডলী যেন মন্ত্রবলে সহসা স্তব্ধ হইয়া গেল। চারিদিকে কেবল একটা অদ্ভূট কানাকানি ও ঠারাঠারি চলিতে লাগিল । ক্ষোভে, দুঃখে, রাগে যষ্ঠীচরণের সর্বাঙ্গ। কঁাপিতেছিল। তিনি জমিদার বাবুকে দেখিয়া উচ্ছসিত কণ্ঠে বলিলেন, “আমি আপনাদের আশ্ৰিত প্ৰজা । এই দীন দরিদ্র ব্ৰাহ্মণ-সন্তানের উপর রাত্রি দ্বিপ্রহরে এ কি অত্যাচার হুজুর ? আবার এই দেখুন, মহাশয়ের নাম দিয়া দুষ্টলোকে কিরূপ একটা মিথ্যা পত্র লিখিয়াছে।” পত্ৰখানি দেখিয়া জমীদার গম্ভীরভাবে বলিলেন, “মিথ্যা নহে, এ পত্র আমারই অনুমতিক্রমে লিখিত হইয়াছে।” বিস্ময়বিশ্বফারিত নয়নে মাষ্ঠীচরণ বলিলেন, “সে কি ! কি বলিতেছেন ? স্বৰ্গীয় বিশ্বম্ভর মুখোপাধ্যায়ের একমাত্র কন্যা কমলকে ত আমিই বিবাহ করিয়াছি। দেবীপুরের সৰ্ব্বানন্দ ঠাকুর যথাশাস্ত্র আমাদের বিবাহ দিয়েছেন।” জমীদার কৃষ্ণশঙ্কর উচ্চহাস্তে বলিলেন, “আশ্চৰ্য্য করিলে । তুমি আবার তাহাকে বিবাহ করিলে কবে ? কি বলেন दिछांकक्षांद्ध भश्oश्व ?” বিদ্যালঙ্কার বিদ্রুপের স্বরে বলিলেন, “অদ্ভুত গল্প বটে ! লোকটা খুব ধড়িবাজ ত ” ষষ্ঠীচরণ বিদ্যালঙ্কারের দিকে ফিরিয়া চাহিলেন। বুদ্ধের নয়নে প্ৰতিহিংসার জালাময় অগ্নি জলিতেছিল। ! শিহরিয়া SV