পাতা:মস্তকের মূল্য - সরোজনাথ ঘোষ.pdf/১৫৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পূজার অর্ঘ্য। কিছু ক্ষম হুইযা পড়ে, তাহার প্রমাণ তত বিরল নহে । আবার তাহার সঙ্গে বিদ্যালয়ের শিক্ষার সংযোগ থাকিলে অবস্থাটা কিছু সঙ্গীন হইলা দাড়ায় । উচ্চ-শিক্ষালাভে শচীন্দ্ৰনাথের দৃষ্টটা কিছু উৰ্দ্ধগামী হইয়াছিল। উদ্ধ দৃষ্টি সকল সমযে নিন্দার নহে, অবস্থাবিশেসে তারতম্য ঘটে। রামাতারণ বাবু মশঃ বলিতে যাহা বুঝিয়েছিলেন, নবীন জমীদার তাঁহাতে সন্তুষ্ট হইতে পারে নাই । সংবাদপত্রের স্তম্ভে তাহার কীৰ্ত্তি যদি ঘোষিত না হইল তাহা হইলে সমস্তই মিথ্যা। শুধু গ্রামের লোকের প্রশংসায় তাহার তৃপ্তি হয় না । তাই সে একটা নূতন উপায় অবলম্বন করিযাছিল। যেখানে সাত সভা সমিতি হইত, সে তাহাতে যোগদান করিত, এবং অযাচিত্ত্বভালে চাদার খাতায় দানের পরিমাণ শূন্যসংখ্যায় বাড়াইয়া দিত। তাহার এই ত্যাগস্বীকার ব্যৰ্থ হয় নাই। দেশীষ সংবাদপত্র-সমূহ তাহার এই বদন্যতার প্ৰশংসা করিয়া মায সুদ সমস্তই পৰিশোধ করিয়াছিল । চাদার খাতার মাহাত্ম্য সামান্য নহে । পারিষদবর্গ অন্যান্য দিনের ন্যান্য আজিও নবীন জমীদারের গুণকীৰ্ত্তনে সন্ধ্যার বাতাসকে মুখরিত করিতেছিল। আলোকস্নিগ্ধ মধুর সন্ধ্যায় শচীন্দ্রনাথের তাহা মন্দ লাগিতেছিল না। চারি দিকে ফুলের ঘন সুগন্ধ, উপরে চন্দ্ৰকরধৌত নীল-শন্য, দীঘির কালো জলে হীরকহিল্লোল ! এমন মনোরম, স্বপ্নময় সন্ধ্যায় যশোগান কাহার অন্তরকে না অভিভূত করিয়া ফেলে ? বৈঠক বেশ জমিয়া আসিঘাছে, এমন সময় কাছারীগহের እ 8 ዓ