পাতা:মস্তকের মূল্য - সরোজনাথ ঘোষ.pdf/১৬৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পূজার অর্ঘ্য । আজি লজ্জার মাথা খাতীয় সে আবার তাহাকে মুখ দেখাইতে আসে কোন অধিকাবে ? তাহাব কি এতটুকু সঙ্কোচ বোপ হইল না ? এমনই চতর, নির্লজ্জা, ঘুণ্য জীবের উদৰে শচীন্দ্ৰনাথ জন্মগ্রহণ করিয়াছে ! শচীন্দ্রের মুখমণ্ডল আরাক্ত হইয়া উঠিল ; নয়নযুগল হইতে ক্ৰোধ, মৃণা ও গোভজনিত অগ্নিশিখা নিৰ্গত হইতে লাগিল । এক এক কক্কিমা সকল কথা তাহার স্মৃতিপটে, উদিত হইল । ব্ৰাহ্মণেব তীব্র শ্লেষবাণী সে অতিকষ্টে বিস্মৃতি হইয়াছিল, আজ ইন্ধন পাইয়া মৰ্ম্ম-বেদনাব জ্বালাময়ী শিখা দ্বিগুণতেজে জলিয়া উঠিল । নিদারুণ ঘূণা, বিজাতীয় ক্ৰোধে তাহার হৃদয় পরিপূর্ণ হইল । * তীব্রস্বরে শচীন্দ্ৰ বলিল, “এখনি তাকে বিদায় ক’বে দাও । এক মুহূৰ্ত্তও যেন সে আমার বাড়ীতে না থাকে । তার সঙ্গে আমার কোনও সংস্রব নাই ।” রামতারণ বাবুর পত্নী সবিস্ময়ে তাহার পানে চাহিলেন । “কি বলছিস, শচী ? কাকে ও কথা বলছিস তা ভেবে দেখেছিস ? সে সে তোর মা গর্ভধারিণী ! দশ মাস দশ দিন পেটে ধরেছিল !” “তুমি এখনই তাকে তাড়িয়ে দাও । বেশী কথা বলে না । আমি তার মুখ দেখতে চাইনে। সে রাক্ষসী আমার কেউ নয়।” মোক্ষদা পুত্ৰকে দেখিবার আশায় স্পান্দিতহদয়ে দরজার কাছে আসিয়া দাড়াইয়াছিল। শচীন্দ্রের সমস্ত কথাই তাহার

  • @o