পাতা:মস্তকের মূল্য - সরোজনাথ ঘোষ.pdf/১৬৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পুজার অর্ঘ্য। কাণে গিয়াছিল। বৃদ্ধ স্তম্ভিতভাবে দরজার কবাট ধরিয়া দাড়াইল। এই কি তাহার পুত্ৰ ? যাহার মঙ্গল-কামনায় সে আপনার হৃৎপিণ্ডকেও উৎপাটিত করিতে কুষ্ঠিত হয় নাই, সেই মেহের ধন, পুত্রের মুখে এই নিদারুণ মৰ্ম্মভেদী তিরস্কার! দারিদ্র্যের নিৰ্ম্মম নিষ্পেষণে মনুষ্যত্ব লুপ্ত হইবার আশঙ্কায় সে যে পুলকে পরের হাতে বিসজ্জন করিয়াছিল, এই কি তাহার পরিণাম ? শিল্পী সারা জীবনের সাধনাফলে হীরক, প্রবাল, মণিমুক্তায় মণ্ডিত অপূৰ্ব্ব হিরন্ময়ী প্ৰতিমা গঠন করিয়াছে সত্য, কিন্তু হায় ! প্ৰাণপ্ৰতিষ্ঠা করিতে পারে নাই । অসহনীয় যন্ত্রণায় মোক্ষদার শোকতাপ-জীৰ্ণ হৃদয় বিদীর্ণ চাইতে চাহিল। তাহার দৃষ্টির সন্মুগ্ধ হইতে পৃথিবীর সমস্ত আলোক যেন বিলুপ্ত হইয়া গেল । রামতারণা-পত্নী মৃদুস্বরে বলিলেন, “ঐ তোর মা এসেছে, একটু চুপ কর বাবা!” শচীন্দ্ৰ উচ্চৈঃস্বরে বলিল, এখানে এসেছি কেন ? এখাণে কিছু হবে না, এখনই চলে যাও। ভিক্ষার দরকার হয়ে থাকে অন্য জায়গায় যাও । দাড়িয়ে রৈলে যে ?” মোক্ষদা ! মোক্ষদা ! পালাও, আর কেন ? দূরে, বহু দূরে লোকালয়ের শেষ সীমায় পলায়ন করা ! অবোধ রমণী ! তুমি কেমন করিয়া জানিবে, মাতার রোহক্রোন্ড হইতে যে হতভাগ্য বিচু্যত, জননীর অনন্ত, অকৃত্রিম স্নেহধারা যাহার হৃদয়কে পবিত্র করে নাই, সে সম্রাটের ঐশ্বৰ্য্য, প্ৰভূত >°心