পাতা:মস্তকের মূল্য - সরোজনাথ ঘোষ.pdf/১৭০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পুজার অর্ঘ্য । ধন-সম্পদের মধ্যে থাকিয়াও কদাচিৎ মানুষ হইয়া উঠিতে পারে । রামতারণের বিধবা কাতরভাবে বলিলেন, “ও শচী তুষ্ট করিস কি ? বুড়ী যে সারাদিন উপবাসী, তার ছোট ছেলেটি মাবণাপন্ন। এমন কাজ করিসূ না । দুপুরবেলা একট, অতিথি এলে ; লোক তাকে না খাওয়াইয়া ছেড়ে দেয় না । আর তোর গর্ভধারিণী মাকে এমন সময় তাড়িয়ে দিচ্ছিস ?” মোক্ষদা মুখের মধ্যে বস্ত্ৰাঞ্চল চাপিয়া মৰ্ম্মভেদী চীৎকার রুদ্ধ করিল । চক্ষু ফাটিয়া অশ্রু বহির্গত হইতে চাহিল; } প্ৰাণপণ চেষ্টায় মাতা চক্ষের জল রুদ্ধ করিল। তাহার একটি দীর্ঘশ্বাসে শচীন্দ্রের সমস্ত কল্যাণ ভস্মসাৎ হইয়া যাইবে যে } এক ফোটা চোথের জলে পুলের সমস্ত সম্পদ ভাসিয়া যাইবে ! মোক্ষদা কি তা পারে ? সে ধীরে ধীরে ফিরিয়া bव्छि । পশ্চাৎ হইতে রামতারণা-পত্নী বলিলেন, “দিদি, যে ও না, তোমার পায়ে পড়ি, দাড়াও । ফের, ফের, পাষণ্ডের কথা তুমি ধরিও না । আমার মাথা খাও, ফের । যাঃ ! চ’লে গেল ? হায় ! হায় ? এ কি হ’ল !” মৰ্ম্মপীড়িত, উপেক্ষিত জননী পশ্চাদার দিয়া রাজপথে আসিয়া দাড়াইল । তখন জয়পবজা উড়াইয়া “বন্দেমাতরম্” সঙ্গীত্তে দিগন্ত প্ৰতিধবনিত করিতে করিতে স্বেচ্ছাসেবক যুবকগণ ভিন্নপথে শচীন্দ্ৰনাথের গৃহে প্ৰবেশ করিতেছিল । అ