পাতা:মস্তকের মূল্য - সরোজনাথ ঘোষ.pdf/১৮১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দেবী । "আপনার অসুখ করেছে নাকি ? মাকে ডাকি ৷” দক্ষিণ হস্ত উৰ্দ্ধে তুলিয়া ক্লিষ্টস্বরে মিস বসু বলিলেন, "না, না, দাড়াও । মাঝে মাঝে আমার বুকে একটা বেদনা ধরে ; সেই বেদনাটা ধরেছিল। এখন সেরে গেছে।” মৃণালিনী পাখা লইয়া মিস বসুকে বাতাস করিতে লাগিল । উঠিয়া দাড়াইয়া ধাত্রী বলিলেন, “থাক, এখন সুস্থ হয়েছি। তুমি একখানা গাড়ী আনাইয়া দাও। এখন আবার রমেশ বাবুর বাড়ী যেতে হবে।” মৃণাল বলিল, “কাল আসবেন তা ?” মিস বসু ঈষৎ হাসিয়া বলিলেন, তোমায় ৰলতে ভুলে গেছি, কাল আমার গয়ায় যাবার” কথা আছে। যদি যাওয়া হয়, তাহলে পনের ষোল দিন তোমাদের সঙ্গে দেখা হবে না ।” পঞ্চম পরিচ্ছেদ । স্বামী স্ত্রীতে কথা হইতেছিল। পাখা করিতে করিতে মৃণা, লিনী বলিল, “তা তুমি যাই বলনা কেন, এ কথা আমার চিরকাল মনে থাকিবে । আমার চেয়ে তোমার কাজ বড় । যদি আমি মরে যৌতুম ?” অভিমানে মৃণালের রক্তাভ ওষ্ঠীদ্বয় আকুঞ্চিত হইল। প্ৰায় প্ৰত্যহই সে এমনই করিয়া স্বামীর কৰ্ত্তব্য-শৈথিল্যের কথাটা স্মরণ করাইয়া দিয়া তৃপ্তি বোধ করিত । Sv)