পাতা:মস্তকের মূল্য - সরোজনাথ ঘোষ.pdf/১৮২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

(शदी এ কথার উত্তর ছিল ; কিন্তু নরেন্দ্ৰনাথ পত্নীর উচ্ছাসে বাধা দেওয়া সঙ্গত মনে করিতেন না। এবং চাকরীর কৰ্ত্তব্য বজায় রাখিতে গিয়া স্ত্রীর প্রতি খানিকটা যে অবিচার করিতে হইয়াছিল, তাহাও তাহার হৃদয়ে পুনঃ পুনঃ আঘাত করিত ! নরেন্দ্র অন্ত দিনের মত অভিযোগের তীক্ষ শরাঘাত নীরবে সহ্য করিয়া ধূমপানে মনোনিবেশ করিলেন। মৃণালিনী তাহাতেও ছাড়িবার মেয়ে নয়। সে বলিল, “ও চাকরী তোমায় ছেড়ে দিতে হবে। কেন, তোমার কিসের অভাব ? শ্বশুর ঠাকুর যে টাকা রেখে গেছেন, তাতে দু’ তিন শ টাকা মাইনের অমন দুটাে চাকর তুমিই রাখতে পার । ছাই টাকার জন্ত তুমি আর চিরকাল বিদেশে থাকতে ॉय कां ।” নরেন্দ্ৰ অন্যমনে বলিলেন, “আমিও তাই ভাবছি। একবার সাহেবকে বলে দেখােব, যদি আমাষ এদেশে কোথাও বদলী করেন ভাল, নইলে মিথ্যা আর বিদেশে পড়িয়া থাকিব না।” । মৃণাল বলিল, “এখন ত আর শুধু তুমি আর আমি নই ৷ খোকা ক্ৰমে বড় হইতে চলিল, তার কথাও ত ভাবিতে হয়।” দাড়ে বসিয়া কাকাতুয়া মাঝে মাঝে চীৎকার করিয়া মধ্যাহের বিজনতা ভঙ্গ করিতেছিল। নরেন্দ্ৰ নিমীলিত নয়নে কি চিন্তা করিতে লাগিলেন। পত্নী স্বামীর চিন্তাগাম্ভীর মুখের দিকে চাহিয়া নীরবে বাতাস করিতেছিল । 8