পাতা:মস্তকের মূল্য - সরোজনাথ ঘোষ.pdf/১৮৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দেবী । স্বেদাপ্লাত তপ্তলিলাটে কোমল, স্নিগ্ধ স্পর্শ ঢালিয়া দিয়া গেল। দাড়াইয়া দাড়াইয়া যখন শ্রান্তিবোধ হইল, তখন নরেন্দ্ৰ ধীরে ধীরে একখানা চেয়ারে বসিয়া পড়িলেন। একখানা বহি খুলিয়া বিক্ষিপ্ত মনটাকে সংযত করিবার চেষ্টা করিতে লাগিলেন। পুস্তকের প্রথম পৃষ্ঠায় একটা নাম লেখা । অক্ষরের কালি বিলৰ্ণ হইয়া আসিয়াছে। বহিখানি টেবিলের উপর ছুড়িয়া ফেলিয়া দিয়া শরবিদ্ধ মৃগের মত তিনি লাফাইয়া উঠিলেন । তিনি কোথাম আসিয়াছেন ? দিবালোকে মানুষ কি স্বপ্ন দেখে ? এমন সমাদ দরজা খুলখা গেল। মৃণালিনী রুদ্ধ নিশ্বাসে বলিল, “ওগো, শীঘ্ৰ উপরে এস, দিদি কেমন করিতেছেন।” দ্বারবানকে ডাক্তার আনিতে আদেশ দিয়া নরেন্দ্ৰনাথ তৎক্ষণাৎ পত্নীর সহিত উপরে উঠিয়া গেলেন । ঘরের সকল জানালা দরজা রুদ্ধ । টেবিলের উপর একটা আলোক জ্বলিতেছে । মৃণালিনী মিস বসুর নিকটে গিয়া ভীতকণ্ঠে বলিলেন, “এ কি ! নিশ্বাস পড়ছে না যে ? শীঘ্ৰ এ দিকে এস !” নরেন্দ্ৰ কিছুদিন চিকিৎসাশাস্ত্রের আলোচনা করিযী। ছিলেন। দেখিবামাত্ৰ বুঝিতে পারিলেন, রোগীর মৃচ্ছা হইয়াছে। পত্নীকে আশ্বাস দিয়া বলিলেন, “ভয় নাই, তুমি খানিকটা দুধ গরম করে নিয়ে এস। বড় দুর্দল হয়ে পড়েছেন দেখছি। ” SQ