পাতা:মস্তকের মূল্য - সরোজনাথ ঘোষ.pdf/১৮৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দেবী । মৃণালিনী দ্রুতপদে চলিয়া গেল । রুয়াকে ভাল করিয়া পরীক্ষা করিবার জন্য নরেন্দ্ৰ আলোক শিখা আরও উজ্জল করিয়া দিলেন । তারপর ধীরে ধীবে তিনি শয্যাপ্রান্তে আসিয়া দাড়াইলেন । উজ্জল আলোক-রশ্মি রোগীর সর্বদেহে পড়িয়াছিল । তঁহার আলুলায়িত কেশভার অযত্ন-বিক্ষিপ্ত, শোভন মুখখানি রোগের পাণ্ডুর রাগে মলিন । যৌবনের নিটোল সৌন্দৰ্য্যেত্ব উপর পীড়ার এইরূপ সৰ্ব্ব গ্রাসী আক্রমণ দেখিয়া নিমেষমধ্যে নরেন্দ্রের চক্ষু পলকহীন হইল । তাহার মুখমণ্ডল সহসা বিবৰ্ণ হইয়া গেল। একটা প্ৰবল আঘাতে তাহার, সমস্ত অন্তরেন্দ্ৰিয় যেন আলোড়িত হইয়া উঠিল। নরেন্দ্র দুই হস্তে চক্ষু আবৃত করিলেন। একটা তীব্ৰ আৰ্ত্তনাদ তঁহার বুকের মপ্যে। গৰ্জ্জন করিয়া উঠিল । রূঢ় আলোক স্পর্শেই হউক বা স্বাভাবিবশেই হউক, রোগীর চেতনা তখন ফিরিয়া আসিতেছিল। মিস বসু চক্ষু উইন্মীলিত করিলেন । একজন অপরিচিত যুবককে সেই অবস্থায় আপনার শয্যাপ্ৰান্তে দণ্ডায়মান থাকিতে দেখিয়া প্রথমতঃ তিনি চকিত হইলেন। পরীক্ষণেই বলিয়া উঠিলেন, “তুমি ! তুমি ” সমুদয় হৃদয় মন্থন করিয়া সেই বেদনারুদ্ধ স্বরা যেন কক্ষমধ্যে কঁপিয়া কঁপিয়া উঠিল । দুই জানু নত করিয়া নরেন্দ্র রোগীর শীর্ণ, শীতল বামহস্তখানি তাহার অগ্নিময় দুইহস্তে চাপিয়া ধরিয়া উন্মত্তের S ዓbr