পাতা:মস্তকের মূল্য - সরোজনাথ ঘোষ.pdf/২১৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আহারার্থ অন্তঃপুরে প্রবেশ করিলেন । দ্বিতীয় পরিচ্ছেদ । দুই সপ্তাহ স্বামীর কোনও সংবাদ না পাইয়া বসন্তকুমারী পত্র লিখিতে বসিয়াছিল। পাশ্বে চারিবৎসরের পুত্র ফেলু বসিয়া বসিয়া তাসের ঘর। নিৰ্ম্মাণ করিতেছিল । মাতার বাকাসটি খোলা দেখিয়া শিশু তাসের ঘর রাখিয়া দিল। নূতন কিছু খেলার জিনিস পাইবার আশায়, সে বাক্সের অভ্যন্তরস্থ দ্রব্যগুলি নাড়িয়া চাড়িয়া, উলটিয়া পালটিয়া দেখিতে লাগিল । সহসা একখানি বঁাধান ফটো কাগজের অন্তরাল হইতে আত্মপ্ৰকাশ করিল। ফেলু ছবি পানি দুই হাতে তুলিয়া ধরিয়া বলিল, “মা, মা, দেখ কেমন ছবি!” বসন্তকুমারীর চিঠিলেখা শেষ হইয়াছিল। সে ফিরিয়া চাহিয়া পুত্রের কীৰ্ত্তি দেখিল । তখন তাড়াতাড়ি সে ফটোখানি কাড়িয়া লইতে গেল । শিশু প্ৰাণপণ যত্নে ছায়াচিত্র খানি বুকের মধ্যে লুকাইয়া রাখিয়া হাসির লহর তুলিয়া বলিল, “না, আমি দেব না ।” মাতা বলিল, “ছিঃ বাবা, ছিড়ে যাবে। তোমার মামাবাবুর ছবি । লক্ষ্মী আমার, সোনা আমার, দাও আমি রেখে দি, তুমি বড় হইলে নিও।”