পাতা:মস্তকের মূল্য - সরোজনাথ ঘোষ.pdf/৩৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মস্তকের মূল্য । গর্জন করিয়া আওরঙ্গজেব বলিলেন, “তুমি চুপ, কার, বুদ্ধ । আওরঙ্গজেব কাহারও পরামর্শ শুনিয়া কাজ করেন না ।” নিৰ্ভীক যুবক স্মিতমুখে বলিল, “শুধু প্ৰাণদণ্ড ? আমার কি অপরাধ ? তুমি ভারতবর্ষের সম্রাটু, প্ৰজার সুখ দুঃখের নিয়ন্ত, তাহাঁদের শুভাশুভ তোমার উপর নির্ভর করিতেছে । " কিন্তু পবিত্র রাজধৰ্ম্ম লঙ্ঘন করিয়া, ন্যায়ের মন্তকে পদাঘাত করিয়া, অবিচারে তুমি প্ৰজার সব্বস্ব লুণ্ঠন করিতেছি, অন্যায় করভারে দরিদ্র প্রজার সর্বনাশ করিতেছ। মুর্থ প্ৰজার পক্ষ লইয়। তাই আমি তোমার ঘোরতর অন্যায় কাৰ্য্যের প্রতিবাদ করিয়াছিলাম! হায়! ভ্রান্ত, অত্যাচারে কি রাজ্য রক্ষা হয়, প্রজাদলনে কি শান্তি ফিরিয়া আইসে ?” আওরঙ্গজেবের দেহ ক্ৰোধে কঁাপিতেছিল। তিনি চীৎকার করিয়া বলিলেন, “মহব্বৎ খ, দুৰ্ব্বত্তকে এখনই এখান হইতে লইয়া যাও। আজ সন্ধ্যার পূর্বে উহার মৃত্যুসংবাদ আমি শুনিতে চাই । নগরে ঘোষণা করিয়া দাও, যেখানে দাড়াইয়া শয়তান প্ৰথম বিদ্রোহবাণী প্রচার করিয়াছিল, সেই-- খানেই উহার প্রাণদণ্ড হইবে । মৃতদেহের কেহ সৎকার করিতে পরিবে না। শৃগাল কুকুর উহার শব্ব ভক্ষণ করিবে।” যুবকের নয়ন জলিয়াও উঠিল। সে উচ্চকণ্ঠে বলিল, "আওরঙ্গজেব ! তুমি ভারতবর্ষের বিধাতা হইতে পাের, কিন্তু ছনিয়ারও এক জন মালিক আছেন। তাহার দরবারে একদিন তোমাকে এই সকল অত্যাচারের জবাব দিতে হইবে ।