পাতা:মস্তকের মূল্য - সরোজনাথ ঘোষ.pdf/৫৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্ৰতিদ্বন্দ্ৰী । আমার বক্ষ ঘনঘন স্পন্দিত হইতে লাগিল । “আপনার গল্প আছে নাকি ?” মন্মথনাথ দ্রুত অঙ্গুলি-সঞ্চালনে সূচীপত্রটা দেখিয়া লইয়া বলিলেন, “আপনি দেখুন দেখি, আমিত খুজিয়া পাইলাম না।” মন্মথবাবু পত্রিকা খানি আমার হস্তে প্ৰদান করিলেন। কি আশ্চৰ্য্য ! আমার গল্প গেল কোথায ? একটা গল্প আছে বটে, কিন্তু লেপকের নাম ত অনাদিচরণ বন্দ্যোপাধ্যায় ! একখানা শিলার উপর আমি ধীরে ধীরে বসিয়া পড়িলাম। শরৎ প্ৰভাতের সে নিৰ্ম্মল, উজ্জ্বল দৃশ্য সহসা যেন আমার চোখের উপর দিয়া ছায়াবু যুক্ত মিলাইয়া গেল। সিগারেট জোরে টানিয়া লইয়া বলিলাম, "আজ কাল রোধে মেন্ধো সবাই লেখক । এ গল্পে আছে কি ? না আছে ভাষার ঝঙ্কার, না আছে ভাব বা বর্ণনার বৈচিত্ৰ্য ! নিশ্চয়ই কোন ইংরাজী গল্পের অনুবাদ । সম্পাদক মহাশয় কেন এমন রাব্বিশ রচনা ছাপিলেন বলিতে পারি না । দিন দিন কাগজ থানি অবনতির পথে চলিয়াছে।” মন্মথ বাবু তাহার উজ্জল চক্ষু যুগল তুলিয়া আমার মুখের দিকে হঁ করিয়া চাহিয়া ছিলেন । সবিস্ময়ে তিনি বলিলেন, “বলেন কি যতীন বাবু, গল্পটা ইংরাজী গল্পের নকল নাকি ?” আমি খলিলাম, “তাহাতে আর সন্দেহ আছে ? এ রকম কল্পনা ইংরাজী বা ফরাসী সাহিত্য ব্যতীত আমাদের মস্তকে কখনই আসিতে পারে না ! যদিও ঠিক কোন গল্পের অনুবাদ